রাজা ও তিন কন্যা
অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
এক ছিল রাজা। তাঁর ছিল তিন কন্যা। একদিন রাজা তাঁর কন্যাদের ডেকে জিজ্ঞেস করলেন এক সহজ প্রশ্ন। কোন মেয়ে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে? বড় কন্যা শিমুল। সে-ই জবাব দিল প্রথমে। বলল, বাবা, আমি তোমাকে চিনির মতো ভালোবাসি। রাজা একটু মুচকি হাসলেন। মেজ কন্যা বকুল বলল, বাবা, আমি তোমাকে মধুর মতো ভালোবাসি। রাজার মুখে আবার দেখা গেল হাসির রেখা। তিনি উৎফুল্ল হলেন। ছোট কন্যা পারুল বলল, বাবা, আমি তোমাকে লবণের মতো ভালোবাসি। সঙ্গে সঙ্গে রাজার মুখ হয়ে গেল কালো। তিনি বিমর্ষ হলেন, খুব কষ্ট পেলেন। রানিও শুনে অবাক। এ কেমন কথা! রাজা বেশ অস্থির। ছোট কন্যার ওপর ভীষণ রেগে গেলেন। ডাকলেন উজির, নাজির, সেনাপতিকে। হুকুম দিলেন, ছোট কন্যা পারুলকে বনবাস দাও। গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসো। রাজার হুকুম বলে কথা। না মেনে উপায় নেই। পরদিন পারুলকে পাঠানো হলো বনবাসে।
৩. কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ শব্দার্থ
অবাক হতবাক
উৎফুল্ল উল্লসিত
জঙ্গল গভীর বন
বিমর্ষ হতাশ
হুকুম আদেশ
ক. রাজার কেউ অমান্য করতে পারে না।
খ. তোমাকে এত দেখাচ্ছে কেন?
গ. মেলায় যাওয়ার কথা শুনে শিমুল হয়ে উঠল।
ঘ. চোখে তাকিয়ে আছো কেন?
ঙ. গভীর বাঘ থাকে।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. রাজার হুকুম কেউ অমান্য করতে পারে না।
খ. তোমাকে এত বিমর্ষ দেখাচ্ছে কেন?
গ. মেলায় যাওয়ার কথা শুনে শিমুল উৎফুল্ল হয়ে উঠল।
ঘ. অবাক চোখে তাকিয়ে আছো কেন?
ঙ. গভীর জঙ্গলে বাঘ থাকে।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. কন্যাদের কাছে রাজার প্রশ্নটা কী ছিল?
খ. বকুল কে? রাজার প্রশ্নের উত্তরে বকুল কী বলেছিল এবং উত্তর শুনে রাজার মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল? চারটি বাক্যে লেখো।
গ. রাজা তাঁর ছোট কন্যা পারুলকে বনবাস দিতে হুকুম করলেন কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখো।
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. কন্যাদের প্রতি রাজার প্রচণ্ড ভালোবাসা ছিল। কন্যারাও রাজাকে খুব ভালোবাসত। তবু রাজা কন্যাদের মুখ থেকে সরাসরি শুনতে চাইলেন কোন কন্যা তাকে কেমন ভালোবাসে। রাজা তার কন্যাদের কাছে ডাকলেন এবং একটা সহজ প্রশ্ন করলেন। রাজার সেই প্রশ্নটা ছিল, কে তাঁকে কী রকম ভালোবাসে?
খ. বকুল হলো রাজার মেজ কন্যা। বড় কন্যার পর রাজা মেজ কন্যা বকুলের কাছে রাজার প্রতি তার ভালোবাসার গভীরতা জানতে চাইল। রাজার প্রশ্নের উত্তরে বকুল বলেছিল, সে তাকে মধুর মতো ভালোবাসে। রাজা খুব খুশি হলেন। হাসিতে ভরে গেল তাঁর মুখ।
গ. পারুল হলো রাজার ছোট কন্যা। বড় কন্যা শিমুল আর মেজো কন্যা বকুলের পর রাজা ছোট কন্যা পারুলের ভালোবাসার ধরন জানতে চাইলেন। ছোট কন্যা রাজার প্রশ্নের জবাবে বলেছিল যে সে রাজাকে লবণের মতো ভালোবাসে। এতে রাজা খুব রেগে গেলেন। রেগে গিয়ে রাজা হুকুম দিলেন ছোট কন্যা পারুলকে বনবাস দিতে। গভীর জঙ্গলে ফেলে দিয়ে আসতে।