পাহাড়পুর বিহার
অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখো।
প্রায় ১৪০০ বছর আগে নির্মিত হয় পাহাড়পুর বিহার। নির্মাণের পরে দীর্ঘ সময় এটি খালি পড়ে থাকে। অনেকে মনে করেন, যুগ যুগ ধরে উড়ে আসা ধুলোবালি ও মাটি এর চারদিকে জমতে থাকে। একসময় মাটির স্তূপে এটি ঢাকা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যায়। সেই থেকে এর নাম হয়ে যায় পাহাড়পুর। দীর্ঘকাল পর ১৮৭৯ সালে আলেকজান্ডার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন। এর আরেক নাম সোমপুর বিহার। হয়তো এ রকম আরও অনেক বিহার ঢাকা পড়ে আছে মাটির নিচে। ধীরে ধীরে আবিষ্কার হলে জানা যাবে পুরোনো দিনের অনেক গল্প, অনেক না জানা ইতিহাস। পৃথিবীর প্রাচীন সব ইতিহাস এভাবেই জানা গেছে। যাঁরা এসব প্রাচীন কীর্তি নিয়ে গবেষণা করেন, তাঁদের বলা হয় প্রত্নতত্ত্ববিদ।
৩. কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ শব্দার্থ
তৈরি নির্মাণ
যুগ যুগ দীর্ঘ সময়
স্তূপ ঢিপি
ঢাকা পড়া আবৃত হওয়া
কীর্তি মহৎকর্ম
আবিষ্কার সন্ধান বা প্রকাশ করা
ক. মা পিঠা করেন।
খ. ধরে সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সংস্কৃতি।
গ. ইটভাটায় ইটের দেখা যায়।
ঘ. টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি করেন।
ঙ. মাটির নিচে রয়েছে অনেক প্রাচীন ।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. মা পিঠা তৈরি করেন।
খ. যুগ যুগ ধরে সৃষ্টি হয়েছে আমাদের সংস্কৃতি।
গ. ইটভাটায় ইটের স্তূপ দেখা যায়।
ঘ. টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কার করেন।
ঙ. মাটির নিচে রয়েছে অনেক প্রাচীন কীর্তি।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. পাহাড়পুর বিহার কীভাবে মাটির নিচে হারিয়ে যায়, তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
খ. সোমপুর বিহারকে পাহাড়পুর বিহার বলা হয় কেন? এর কারণ চারটি বাক্যে লেখো।
গ. প্রত্নতত্ত্ববিদ বলতে কী বোঝো, তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. দীর্ঘদিন ধরে খালি থাকায় পাহাড়পুর বিহারে ধুলোবালি জমতে থাকে। ধীরে ধীরে জমতে থাকে মাটি। একসময় মাটির স্তর পুরু হয়ে যায়। এর নিচে ঢাকা পড়ে যায় বিশাল এ বিহার। এভাবেই মাটির নিচে ঢাকা পড়ে হারিয়ে যায় পাহাড়পুর বিহার।
খ. মাটির চাপা পড়ে পাহাড়ের মতো হয়ে যাওয়ায় সোমপুর বিহারকে পাহাড়পুর বিহার বলা হয়। সোমপুর বিহার মাটিচাপা পড়ায় এটাকে দেখতে অনেকটা পাহাড়ের মতোই মনে হয়। মানুষ এটাকে পাহাড় বলেই মনে করত। পরবর্তী সময়ে এর নিচে চাপা পড়ে থাকা বিহার আবিষ্কার হয়। এ কারণেই এ বিহারকে পাহাড়পুর বিহার বলা হয়।
গ. যাঁরা হারিয়ে যাওয়া স্থাপনা খুঁজে বের করেন, তাঁদের প্রত্নতত্ত্ববিদ বলা হয়। আমাদের আগেও এ দেশে অনেক জাতি ছিল, লোকালয় ছিল। বিপর্যয়ের কারণে অনেক বসতি ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক বসতি মাটির নিচে চাপা পড়েছে। এগুলো খুঁজে বের করা এবং গবেষণার কাজে যাঁরা নিয়োজিত তাঁরাই হলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক
উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা