আর্সেনিক
অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তরগুলো লেখো।
আর্সেনিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর একধরনের পদার্থ। এর কোনো রং, গন্ধ ও স্বাদ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি লিটার পানিতে ০.০৫ মিলিগ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে বুকে, পিঠে, পেটে কালো দাগ দেখা দেয় এবং চামড়ার রং কালো হয়ে যায়। হাত-পায়ের তালু খসখসে হয়ে ফেটে যায় এবং ক্ষেত্রবিশেষ ছোট ছোট গুটি দেখা দিতে পারে। বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, খাওয়াদাওয়ার অরুচি, রক্ত আমাশয়, মুখে ঘা হতে পারে। কিডনি, লিভার ও ফুসফুস বড় হয়ে যায়। এমনকি আক্রান্ত স্থানে ক্যানসারও হতে পারে। তবে এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। শরীরে আর্সেনিকের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার অথবা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পরামর্শমতো চলতে হবে এবং পরীক্ষার মাধ্যমে যে নলকূপটির মুখ সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে, সে নলকূপের পানি পান করতে হবে। যদি কোনো এলাকার নলকূপের পানিতে আর্সেনিক দেখা দেয়, তবে নদী, পুকুর, বিলের পানি ছেকে ২০ মিনিট ফুটিয়ে পান করতে হবে। এ ছাড়া বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পরের পানিও পান করা যেতে পারে। আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগী সব ধরনের খাবার খেতে পারেন। তবে রোগীকে শাকসবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে।
৩. ছকে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেওয়া আছে। উপযুক্ত শব্দটি দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।
শব্দ অর্থ
লক্ষণ চিহ্ন
ক্ষতিকর ক্ষতি করে এমন
আক্রান্ত আক্রমণ করা হয়েছে এমন
পুষ্টিকর পুষ্টিদান করে এমন
বিষাক্ত বিষযুক্ত
ক্যানসার দুরারোগ্য ক্ষতরোগ বিশেষ
ক. দুধ একটি খাবার।
খ. ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ।
গ. ডেঙ্গু ব্যক্তির জ্বর হয়।
ঘ. আর্সেনিক একধরনের পদার্থ।
ঙ. ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ডায়রিয়া
রোগের ।
৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. আর্সেনিক কী? আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগীর চারটি লক্ষণ লেখো।
খ. আর্সেনিক কেন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
গ. মনে করো তোমার এলাকাবাসীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিক দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য তুমি তাদের কী পরামর্শ দেবে তা পাঁচটি বাক্যে লেখো।
৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. দুধ একটি পুষ্টিকর খাবার।
খ. ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গ. ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর হয়।
ঘ. আর্সেনিক একধরনের বিষাক্ত পদার্থ।
ঙ. ঘন ঘন পাতলা পায়খানা ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ।
৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর
ক. আর্সেনিক একধরনের বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আর্সেনিকে আক্রান্ত একজন রোগীর চারটি লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো—বুকে, পিঠে, পেটে কালো দাগ দেখা দেয়। শরীরের চামড়ার রং কালো হয়ে যায়। হাত-পায়ের তালু খসখসে হয়ে ফেটে যায়। কখনো কখনো হাত-পায়ের তালুতে ছোট ছোট গুটি দেখা দেয়।
খ. আর্সেনিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এর লক্ষণগুলো নিচে দেওয়া হলো—
এর ফলে বমি বমি ভাব হয়। খাওয়াদাওয়ায় অরুচি হয়। আর্সেনিক দূষণের ফলে অনেক সময় পাতলা পায়খানা ও রক্ত আমাশয় হয়। এ ছাড়া মুখে ঘা হতে পারে। কিডনি, লিভার ও ফুসফুস বড় হয়ে যায়। আর্সেনিকে আক্রান্ত স্থানে ক্যানসারও হতে পারে।
গ. এলাকাবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য পাঁচটি পরামর্শ: এলাকার নলকূপের পানি আর্সেনিকমুক্ত কি না, তা জেনে নিতে হবে।
যে নলকূপের মুখে লাল রং দ্বারা চিহ্নিত
করা রয়েছে, সে নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করা যাবে না। সবুজ রং দ্বারা চিহ্নিত করা আছে, অবশ্যই এমন নলকূপের পানি সংগ্রহ করতে হবে। এ ছাড়া বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পরে যে পানি পাওয়া যাবে তা ধরে রেখে পান করার পরামর্শ দেব।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক
উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা