বাংলা | রচনা

শীতকাল

ভূমিকা: ছয়টি ঋতু তাদের বিচিত্র রূপ নিয়ে হাজির হয় ষড়ঋতুর এ বাংলাদেশে। পৌষ ও মাঘ দুই মাস শীতকাল। এ সময় বৃষ্টি হয় না এবং শীতের হাড়কাঁপানো হিমেল বাতাসের জন্য এ ঋতু মনে রাখার মতো।

ঋতুর বর্ণনা: শীতকালে কুয়াশা আর শিশির পড়ে। এ সময় দিন ছোট ও রাত বড় হয়। উত্তর দিক থেকে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। ফলে শীতের প্রচণ্ডতা আরও বেড়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে চারদিকে তাকালে মনে হয় যেন প্রকৃতি কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। এ দেশে এর একটা নিজস্ব সৌন্দর্য আছে।

শীতের উপহার: কুয়াশা আর শিশিরে ভেজা শীত সবুজ ফসলের বন্যা বইয়ে দেয়। লালশাক, পালংশাক, বেগুন, বরবটি, শিম, টমেটো, আলু, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, শালগম, ওলকপি ইত্যাদি শীতের আকর্ষণীয় ও উপাদেয় সবজি দেখা যায়। এ সময় গাঁদা, গোলাপ, ডালিয়া, সূর্যমুখী ইত্যাদি রংবেরঙের ফুলে বাগান ভরে যায়। এ সময় খেজুরের রস পাওয়া যায়। এ রস দিয়ে পিঠাপুলি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।

শীতের বেদনা: দারিদ্রে্যর কষাঘাতে লালিত দেহে শীত সবচেয়ে বেদনাবহুল ঋতু। হাড়কাঁপানো শীতে তাদের দুঃখের সীমা থাকে না। তখন শুধু অপেক্ষার পালা কখন আকাশে নতুন সূর্যের আগমন ঘটবে। ঠান্ডা বাতাসে কুঁকড়ে যাওয়া মানুষের জন্য শীত মৃত্যুর কারণ হয়েও দাঁড়ায়।

অনুষ্ঠান: শীতকালে পৌষ পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে বিয়ের ধুমধামে চারদিক যেন মুখরিত হয়।

উপসংহার: শীতকাল মানুষের জন্য কিছুটা সুখের হলেও গরিবদের বেলায় তা খুব কষ্টের। তাদের প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র না থাকার কারণে তারা শীতকালে অতি কষ্টে জীবন কাটায়।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক
উইল্‌স লিট্‌ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা