প্রতিবেদন লিখন
প্রিয় শিক্ষার্থী, বাংলা ২য় পত্রের একটি নমুনা প্রতিবেদন দেওয়া হলো।
প্রশ্ন: তোমার বিদ্যালয়ে উদ্যাপিত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
বরাবর
অধ্যক্ষ,
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা।
বিষয়: স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে প্রতিবেদন।
জনাব,
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরির আদিষ্ট হয়ে নিচের প্রতিবেদন উপস্থাপন করছি।
(আদেশ নম্বর: ৩/ বি.এন.এম.পি.সি./২০১৪/৮০)
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত।
বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ২৬ মার্চ, ২০১৪ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে ৪৩তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
যথাযোগ্য মর্যাদায় অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসের মূল পর্ব ছিল আলোচনা সভা। কলেজের অধ্যক্ষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিবির মহাপরিচালক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি মারুফ রায়হান, কবি নাসির আহমেদ ও কবি তারেক রেজা। আলোচনায় অংশ নেন মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী।
প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। এ জন্য ৩০ লাখ মানুষকে শহীদ হতে হয়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ২৬-শে মার্চ হলেও মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরি হয় ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। তারপর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ‘সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ’ কর্তৃক ১১ দফা আন্দোলন, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাই। অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি।
বিশেষ অতিথির ভাষণে কবি মারুফ রায়হান বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর আমাদের স্বপ্ন ছিল আমরা সুখী, সমৃদ্ধিশালী একটি বাংলাদেশ গড়ব। বিশেষ অতিথির ভাষণে কবি তারেক রেজা বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, জাতি তাঁদের যুগ যুগ ধরে মনে রাখবে। জাতির এ সূর্যসন্তানদের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
কবি নাসির আহমেদ বলেন, স্বাধীনতা আমাদের জন্য একটি স্বর্ণদুয়ার খুলে দিয়েছিল। যে দুয়ার দিয়ে প্রবেশ করে আমরা আমাদের যুগসঞ্চিত জঞ্জাল দূর করতে পেরেছিলাম। তখন আমাদের স্বপ্ন ছিল, আমরা সব ধরনের অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন দূর করে একটি সুস্থ, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারব। সেই সদিচ্ছা নিয়ে দেশ গঠনে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ইতিহাসে স্বাধীনতাসংগ্রাম ও স্বাধীনতা দিবসের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, অনন্তকাল আমাদের অনুপ্রেরণার উত্স হয়ে থাকবে।
স্বাধীনতার শহীদদের স্বরণে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর, নাট্যানুষ্ঠান, সংগীতানুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন ছিল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা: সাদমান হাসান
৯ম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ, রোল নং: ১১, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা।
প্রতিবেদনের শিরোনাম: বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজে স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত।
প্রতিবেদন তৈরির সময়: রাত ৮ টা
তারিখ: ২৯ মার্চ, ২০১৪।
প্রেরক
সাদমান
৯ম শ্রেণি, রোল নং-১১ বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা।
ডাকটিকিট
প্রাপক
অধ্যক্ষ
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা।
শিক্ষক
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা
# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল