পড়াশোনা পাতার প্রতিটি লেখা জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমীর (NAPE) চূড়ান্ত প্রশ্নকাঠামো অনুসারে সাজানো হয়েছে। ছয়টি বিষয়ে মোট নম্বর ৬০০। প্রতিটি বিষয়ে ৫০ নম্বরের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন এবং বাকি ৫০ নম্বর গতানুগতিক ধারার প্রশ্ন থাকবে। গত ১৬ আগস্ট থেকে ধারাবাহিকভাবে নমুনা
প্রশ্নোত্তর ছাপা হচ্ছে। চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত।
১২ নম্বর প্রশ্ন:
কবিতার চরণ সাজিয়ে লেখো
প্রিয় পরীক্ষার্থী, বাংলা বিষয়ে ১২ নম্বর প্রশ্নটি থাকবে কবিতার চরণ সাজিয়ে লেখা, কবিতার নাম, কবির নাম ও প্রশ্নের উত্তর লেখার ওপর।
২৫. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. কবিতার লাইনগুলো পরপর সাজিয়ে লেখো।
কাল যেখানে পরাজয়ের
আজ সেখানে আলো।
কাল যেখানে আঁধার ছিল
কালো সন্ধ্যা হয়,
আজ সেখানে ভালো।
কাল যেখানে মন্দ ছিল
খ. কবিতার অংশটুকু কোন কবিতার তা লেখো?
গ. কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ. ‘কাল যেখানে আঁধার ছিল আজ সেখানে আলো।’—কথাটির অর্থ কী?
উত্তর:
ক. নিচে কবিতার লাইনগুলো পরপর সাজিয়ে লেখা হলো।
কাল যেখানে আঁধার ছিল
আজ সেখানে আলো।
কাল যেখানে মন্দ ছিল,
আজ সেখানে ভালো।
কাল যেখানে পরাজয়ের
কালো সন্ধ্যা হয়,
খ. কবিতাংশটুকু ‘রৌদ্র লেখে জয়’ কবিতার।
গ. কবিতাটির কবির নাম শামসুর রাহমান।
ঘ. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। পাকিস্তানিরা এ দেশের মানুষের ওপর নানা রকম অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছিল। কিন্তু বাংলার মানুষ তাদের এ অত্যাচার মেনে না নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয় আমাদের এ স্বাধীনতা। এ দেশের আকাশ থেকে অত্যাচারীর কালো মেঘ সরে গিয়ে নীল আকাশে ছড়িয়ে পড়ে স্বাধীন সূর্যের আলো। কবি এ বিষয়টি স্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্যই বলেছেন, কাল যেখানে আঁধার ছিল, আজ সেখানে আলো।
২৬. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।
ক. কবিতার লাইনগুলো পরপর সাজিয়ে লেখো।
তাদের কথা দেশের মানুষ
কখনো ভুলবে না।
আবার দেখি নীল আকাশে
পায়রা মেলে পাখা,
হানাদারের সঙ্গে জোরে
লড়ে মুক্তি-সেনা,
খ. কবিতার অংশটুকু কোন কবিতার তা লেখো?
গ. কবিতাটির কবির নাম কী?
ঘ. দেশের মানুষ কাদের কথা কখনো ভুলবে না? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর:
ক. নিচে কবিতার লাইনগুলো পরপর সাজিয়ে লেখা হলো।
হানাদারের সঙ্গে জোরে
লড়ে মুক্তি-সেনা,
তাদের কথা দেশের মানুষ
কখনো ভুলবে না।
আবার দেখি নীল আকাশে
পায়রা মেলে পাখা’
খ. কবিতাংশটুকু ‘রৌদ্র লেখে জয়’ কবিতার।
গ. কবিতাটির কবির নাম শামসুর রাহমান।
ঘ. ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কথা দেশের মানুষ কখনো ভুলবে না, কারণ তারাই হানাদার পাকিস্তানিদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তাদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করেছিল। সেই সব সাহসী মুক্তিযোদ্ধার রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে।
শিক্ষক
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা