বাংলা

.
.

শব্দদূষণ
প্রিয় শিক্ষার্থী, আজ বাংলা বিষয়ের ‘শব্দদূষণ’ কবিতার ওপর আলোচনা করা হবে। তোমরা মনোযোগ সহকারে পাঠ আলোচনাটি পড়বে।
প্রশ্ন: শব্দগুলোর অর্থ লেখো।
নিশিরাত, কিচিরমিচির, ফেরিঅলা, শব্দদূষণ
প্রদত্ত শব্দ শব্দের অর্থ
নিশিরাত গভীর রাত
কিচিরমিচির পাখির ডাকাডাকির আওয়াজ
ফেরিঅলা রাস্তা বা বাড়ি বাড়ি ঘুরে যারা
জিনিসপত্র বিক্রি করে
শব্দদূষণ অত্যন্ত কোলাহলে শব্দদূষণ ঘটে।
প্রশ্ন: ঘরের ভিতরের শব্দগুলো খালি জায়গায় বসিয়ে বাক্য তৈরি কর।
ফেরিঅলা 

ক. ............ চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমুচ্ছে।
খ. ভোর বেলাতেই পাখির ............ শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
গ. .............. হাঁক দিচ্ছে—থালাবাসন চাই?
ঘ. ............. আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
উত্তর:
ক. নিশিরাত, চেঁচামেচি করো না, সবাই ঘুমুচ্ছে।
খ. ভোর বেলাতেই পাখির কিমিরমিচির শুনতে শুনতে আমার ঘুম ভাঙে।
গ. ফেরিঅলা হাঁক দিচ্ছে—থালাবাসন চাই?
ঘ. শব্দদূষণ আমাদের শোনার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
প্রশ্ন: কবিতায় কোন কোন পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘শব্দদূষণ’ কবিতায় কবি সুকুমার বড়ুয়া অনেক রকম পশু ও পাখির কথা বলেছেন। কবিতায় যেসব পশু ও পাখির কথা বলা হয়েছে তা হলো:
পশু: গরু ও কুকুর।
পাখি: হাঁস, কবুতর, মোরগ, দোয়েল, চড়ুই, ঘুঘু, টুনটুনি আর কাক।
প্রশ্ন: শহরে কী কারণে শব্দদূষণ হয়?
উত্তর: শহর একটি ব্যস্ততম ও জনবহুল স্থান। এখানে সময়-অসময় পাতিকাক ডেকে ওঠে, যখন-তখন গাড়ির হর্ন বাজতে থাকে। সিডি চলে, টিভি চলে, মাইক বাজে, টেলিভিশন ও দরজার বেল ইত্যাদি যখন-তখন বেজে ওঠে। পাশাপাশি ফেরিঅলার হাঁক-ডাক আর স্কুলে ছোটদের হইচইসহ হাজার রকম শব্দের কারণে শহরে শব্দদূষণ হয়।
প্রশ্ন: কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে কোনটি তোমার ভালো লাগে? কেন?
উত্তর: প্রকৃতির এক বিশাল অংশজুড়ে আছে পশু আর পাখি। এদের চলাফেরা, আবাসস্থল যেমন ভিন্ন, ডাকাডাকিও তেমনি ভিন্ন। কুকুরের ঘেউ ঘেউ ডাক সবারই বিরক্তের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আবার পাখির কলকাকলি, মিষ্টি-মধুর ডাক সব মানুষেরই মন ছুঁয়ে যায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই কুকুরের ডাক আর পাখির ডাকের মধ্যে আমার ভালো লাগে পাখির ডাক। কারণ, পাখির ডাক প্রকৃতিকে যেমন প্রাণবন্ত করে রাখে, তেমনি মানুষের মনেও প্রশান্তির ছোঁয়া দিয়ে যায়।

প্রশ্ন: গ্রামের মানুষ কোন পাখির ডাক শুনে ঘুম থেকে ওঠে?
উত্তর: হাজার পাখির কলকাকলিতে মুখর আমাদের গ্রামবাংলা। এ দেশের গ্রামের মানুষ পাখির কলকাকলিতে মুগ্ধ হয়। আর পাখির ডাকে প্রকৃতিও যেন জেগে ওঠে। গ্রামের মানুষ সাধারণত মোরগের ডাক শুনেই ঘুম থেকে ওঠে। আবার নানা রকম পাখির ডাকেও ঘুম থেকে জেগে ওঠে।
প্রশ্ন: কবিতার চরণগুলো পর পর সাজিয়ে লেখো।
শহুরে জীবন জ্বালা-শব্দদূষণ।
দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন
পল্লির সেই সুরে ভরে যায় মন
সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন
ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।
গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাটে।
উত্তর:
সিডি চলে, টিভি চলে, বাজে টেলিফোন
দরজায় বেল বাজে, কান পেতে শোন।
গলিপথে ফেরিঅলা হাঁকে আর হাঁটে
ছোটদের হইচই ইশকুল মাঠে।
পল্লির সেই সুরে ভরে যায় মন
শহুরে জীবন জ্বালা-শব্দদূষণ।

প্রশ্ন: যুক্তবর্ণ দিয়ে শব্দ তৈরি করে বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।
ব্দ, ল্ল, জ্ব, ন্ত, স্ত
উত্তর:
যুক্তবর্ণ গঠিত শব্দ বাক্যে প্রয়োগ
ব্দ শব্দ শহরে হাজার রকমের শব্দ কান ঝালাপালা করে দেয়।
ল্ল পল্লি পল্লির মেঠোপথ ধরে হেঁটে বেড়াতে খুব ভালো লাগে।
জ্ব জ্বলজ্বল জোনাকি পোকা অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে জ্বলে।
ন্ত শান্তি গ্রামে শব্দদূষণ কম, তাই মনের শান্তি বজায় থাকে।
স্ত রাস্তা মাঝরাতে রাস্তা ফাঁকা থাকে।
সিনিয়র শিক্ষক
আন-নাফ গ্রিন মডেল স্কুল, ঢাকা