বুয়েটকে একাডেমিক মহাপরিকল্পনা তৈরির তাগিদ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রুত একাডেমিক মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো বিষয়ে বুয়েটকে তাৎক্ষণিক সাহায্য করা হয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুয়েটের কাউন্সিল ভবনে ‘বুয়েটের সাম্প্রতিক কার্যাবলি অবহিতকরণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বুয়েটের সাম্প্রতিক কার্যপ্রণালি তুলে ধরেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান।

বাংলাদেশের লক্ষ্যের সঙ্গে বুয়েটের লক্ষ্যের যোগসূত্র তৈরি হলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে মন্তব্য করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা যা কিছু করতে যাই—যেমন পরীক্ষা নেওয়া, মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি সবকিছুতেই বুয়েটে আসতে হয়। সুতরাং বুয়েটকে তো ডায়নামিক (প্রাণবন্ত) হতেই হবে৷ যেকোনো বিষয়ে বুয়েটকে তাৎক্ষণিক সাহায্য করা হয় এবং ভবিষ্যতেও করা হবে।

শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, অবকাঠামোগত উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়ায় বুয়েট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষামন্ত্রী৷ এর পাশাপাশি বুয়েট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত একাডেমিক মহাপরিকল্পনা তৈরিরও তাগিদ দেন তিনি৷ বুয়েটের গবেষণাগার আধুনিকায়ন, গবেষণায় প্রণোদনা দেওয়া এবং ভালো শিক্ষার্থীদের ধরে রাখার উদ্যোগের প্রশংসা করেন মন্ত্রী।

বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, শুধু সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোলাবরেশনের (সহযোগিতা) মাধ্যমে নিজস্ব তহবিল তৈরি করেও বুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

অধ্যাপক সত্যপ্রসাদ মজুমদার বলেন, পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য বুয়েটে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে৷ তাঁদের জন্য ফেলোশিপ ও আলাদা আবাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাহলে শিক্ষার্থীদের বাইরে চলে যাওয়ার প্রবণতা কমে আসবে। বুয়েটে রেলওয়ে, ওশান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো যুগোপযোগী বিষয়গুলো চালু করতে হবে।

বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদগুলোর ডিন, বিভাগগুলোর প্রধান, ইনস্টিটিউট ও দপ্তরগুলোর পরিচালকেরা উপস্থিত ছিলেন।