ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র | সৃজনশীল প্রশ্ন

অধ্যায় ৮

কবির আর নকিব দুই বন্ধু। আন্তর্জাতিক ব্যবসা–বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা গার্মেন্টস সামগ্রী রপ্তানি ও যন্ত্রসামগ্রী আমদানি করেন। নিজেদের কর্মীর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি যেকোনো পরামর্শ ভিডিও কনফারেন্স ও অডিও কনফারেন্স প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রহণ করেন। বিদেশি
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রয়োজনে তাঁরা তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ফ্যাক্স ও ই-মেইল ব্যবহার করেন।

প্রশ্ন

ক. ফলাবর্তন কী?

খ. ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’ ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কেন, ব্যাখ্যা করো।

গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কর্মীদের কোন ধরনের শাব্দিক যোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে, ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকে বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে
তথ্য আদান-প্রদানে ব্যবহৃত যোগাযোগ পদ্ধতির ধরন উল্লেখ করে, এর গুরুত্ব মূল্যায়ন করো।

উত্তর

ক. প্রেরকের সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাপকের মনোভাব প্রকাশকে ফলাবর্তন বলে।

খ. তথ্যসংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ ও ইন্টারনেটনির্ভর যোগাযোগপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী দ্রুত তথ্যের আদান-প্রদান ও যোগাযোগ স্থাপনসংশ্লিষ্ট আধুনিক কম্পিউটারাইজড ব্যবস্থাকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বলে।

বৃহদায়তন ব্যবসায় কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিভিন্নমুখী তথ্যসংগ্রহ, বিশ্লেষণ, আদান-প্রদান তথ্য-যোগাযোগ বর্তমানে খুবই অপরিহার্য। দ্রুততার সঙ্গে এসব কাজ সম্পাদনে ইন্টারনেট, ই-মেইল, ওয়েবসাইট ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তাই ব্যাপক বিস্তৃত ব্যবসায় কর্মকাণ্ডের জগতে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কর্মীদের মৌখিক যোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে। যে যোগাযোগ প্রেরক ও প্রাপকের মধ্যে মৌখিকভাবে সংঘটিত হয়, তাকে মৌখিক যোগাযোগ বলা হয়। প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা মৌখিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরস্পর তথ্য বিনিময় করেন।

উদ্দীপকে দেখা যায়, কবির আর নকিব আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা নিজেরা কর্মীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠান-সম্পর্কিত যেকোনো পরামর্শের ক্ষেত্রে, ভিডিও কনফারেন্স ও অডিও কনফারেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। অর্থাৎ অডিও ও ভিডিও কনফারেন্সে তাঁরা মৌখিকভাবে কর্মীদের যাবতীয় নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। কর্মীদের কোনো সমস্যা বা প্রশ্ন থাকলে তাঁরাও মৌখিকভাবেই করে থাকেন। নিঃসন্দেহে বলতে পারি, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কর্মীদের মৌখিক যোগাযোগ সংঘটিত হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানে লিখিত যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়েছে এবং এ পদ্ধতির গুরুত্বও রয়েছে।যে যোগাযোগ লিখিতভাবে প্রেরকের কাছ থেকে প্রাপকের কাছে পৌঁছে তাকে লিখিত যোগাযোগ বলা হয়। বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি লিখিত যোগাযোগ পদ্ধতিই ব্যবহার করেছে। উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী, কবির আর নকিব বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে ফ্যাক্স ও ই-মেইল ব্যবহার করেন। ফ্যাক্সের সাহায্যে তথ্য যেমন লিখিত আকারে প্রেরণ করা হয়, তেমনি ই-মেইলেও তথ্য টাইপ করে নির্দিষ্ট ঠিকানায় তথ্য
পাঠানো হয়। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির এ মাধ্যমের ব্যবহার দ্বারা কবির আর নকিব দ্রুত তথ্য বিনিময় বা প্রেরণ করতে পারেন, যা কিনা লিখিত যোগাযোগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে।

কবির আর নকিব বিদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানে লিখিত যোগাযোগ পদ্ধতি ব্যবহার করেই দ্রুত তথ্য বিনিময় বা প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি বিদেশ হলেও গ্রাহকদের সঙ্গে কম সময় ব্যয়ের মাধ্যমে কায়িক শ্রম ব্যতীতই তাঁরা যোগাযোগ করতে পারেন। এর ফলে বিদেশি গ্রাহকদের সঙ্গে দূরত্বগত বাধা যেমন হ্রাস পায়, তেমনি কাজেও গতিশীলতা আসে এবং ব্যবসায় সফলতা অর্জন সহজ হয়।

বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল