যে কারণে 'মধু হই হই' বিষ খাইয়েছিল
‘মধু হই হই আরে বিষ হাওয়াইলা...’ গানটি শোনেননি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। কেউ কি ভেবে দেখেছেন, কেন মধুর কথা বলে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল শিল্পীকে? কেউ না ভাবলেও রস+আলো তো আর বসে থাকতে পারে না। রস+আলোর অনুসন্ধানে পাওয়া সম্ভাব্য কারণসমূহ জানাচ্ছেন মো. মিকসেতু

l মধুর বোতল আর কৃষিজমিতে দেওয়া কীটনাশকের বোতল পাশাপাশি রাখা ছিল। দুই বোতলের গায়ে মধু আর বিষ লাগানো লেবেলও ছিল। কিন্তু প্রেমিকা লেখাপড়া না জানায় মধুর বোতল ভেবে বিষের বোতল তুলে নিয়েছিলেন।

l প্রেমিককে মধু খেতে ডেকেছিল ঠিকই। কিন্তু ঢাকার যানজট ঠেলে প্রেমিকের আসতে দীর্ঘদিন লেগে যায়। তত দিনে মধুর এক্সপায়ার ডেট পার হয়ে সেটা বিষ হয়ে গিয়েছিল।

l যে মধু খাইয়েছিল সেটা সরাসরি সুন্দরবনের মৌচাক থেকে সংগৃহীত মধু। আর রামপাল চুক্তির কথা ওঠার পর থেকেই প্রতিবাদস্বরূপ মৌমাছিরা মধু জমানোর বদলে মৌচাকে বিষ জমানো শুরু করেছিল।
l বাংলা ব্যাকরণের বাগধারায় আছে, ‘মুখে মধু, অন্তরে বিষ’। ব্যাপারটা সে রকম। মুখে মধু খাওয়াতে চাইলেও অন্তরে ছিল বিষ খাওয়ানোর চিন্তা। প্রেমিক সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছিল।

l গানের দ্বিতীয় লাইনে বলা আছে, ‘হোন হারণে বালোবাসার দাম ন দিলা...।’ আসলে একেকজনের ভালোবাসার দাম একেক রকম। সে অনুযায়ী ভালোবাসার দাম হিসেবেই বিষ দিয়েছিল। শিল্পী সেটা বুঝতে পারেননি।
l অন্য সব খাদ্যদ্রব্যের মতো মধুতেও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়েছিল। কেমিক্যালের পরিমাণ এত বেশি ছিল যে সেটা আর মধু থাকেনি, বিষ হয়ে গিয়েছিল।
l ফ্লার্ট করতে গিয়ে প্রেমিক কথাচ্ছলে বলেছিল, ‘তুমি বিষ খাওয়ালে সেটাও আমার কাছে মধুর মতো লাগবে।’ প্রেমিকা ব্যাপারটা সিরিয়াসলি নিয়েছিল।
