এইচএসসি পরীক্ষায় এবার বগুড়া জেলার শীর্ষে রয়েছে সরকারি আজিজুল হক কলেজ। কলেজটি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গত বছর ছিল ষষ্ঠ অবস্থানে। এ ছাড়া বগুড়ার আরও চারটি প্রতিষ্ঠান বোর্ডসেরা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
গত বছর আজিজুল হক কলেজ থেকে ৮৯১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পান। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২৩ জন। গত বছর জেলায় শীর্ষে ছিল বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার একধাপ পিছিয়ে কলেজটি জেলায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তবে এ প্রতিষ্ঠানটি টানা চতুর্থবারের মতো বোর্ডে চতুর্থ অবস্থান ধরে রেখেছে। মেধাতালিকায় বোর্ডসেরা ২০-এর মধ্যে বগুড়ার অপর তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ (নবম), বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১১তম) এবং পল্লী উন্নয়ন ল্যাবরেটরি পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ (১৭তম)। গত বছর বোর্ডসেরা তালিকায় বগুড়ার চারটি প্রতিষ্ঠান ছিল।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে বোর্ডসেরা তালিকায় বগুড়ার তিনটি এবং ২০১৩ সালে চারটি প্রতিষ্ঠান স্থান পায়। এবার বোর্ডে তৃতীয় এবং জেলায় প্রথম অবস্থানে থাকা সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এক হাজার ৪৯২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে এক হাজার ৪৬৬ জনই পাস করেছেন। পাসের হার ৯৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।
আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শিরিনা এনাম বলেন, শিক্ষকেরা শ্রেণিকক্ষে যত্নসহকারে পরিকল্পিতভাবে পাঠদান করিয়েছেন। শিক্ষার্থীরাও মনোযোগী হয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আর এসব কারণেই কলেজটি এবার বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর ধরে শিক্ষা বোর্ডে চতুর্থ অবস্থান ধরে রাখা বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৬৯৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৬৯৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪০১ জন। গত বছর কলেজটি থেকে ৬৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৩৯ জন।
এদিকে ২০১২ সালের বোর্ডে ১৯তম অবস্থান থাকা বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ গতবার মেধাতালিকা থেকে ছিটকে পড়ে। এক বছর পর এবার প্রতিষ্ঠানটি বোর্ডে নবম স্থান অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এবার ২৬৮ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেন ২৬৫ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬৭ জন।