সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রিয় শিক্ষার্থী, শুভেচ্ছা নিও। হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে নতুন মানবণ্টন অনুসারে সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন থাকবে ১৫টি। প্রতিটির নম্বর থাকবে ১ করে।
অধ্যায়-২
প্রশ্ন: বরাহরূপী শ্রীহরি কীভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করেন?
উত্তর: একবার পৃথিবী সাগরে ডুবে যেতে থাকে। তখন শ্রীহরি বরাহরূপে আবিভূর্ত হয়ে পৃথিবীকে উদ্ধার করেন। তাঁর বিশাল দাঁত দিয়ে তিনি পৃথিবীকে জলের ওপরে তুলে ধরলেন। এভাবে তিনি পৃথিবীকে রক্ষা করেন।
প্রশ্ন: গৌতম কখন বুদ্ধ নামে পরিচিত হন? তাঁর ধর্মের মূলকথা কী ছিল?
উত্তর: গৌতম ‘বোধি’, অর্থাৎ জ্ঞানলাভের পর বুদ্ধ নামে পরিচিত হন। তাঁর ধর্মের মূলকথা ছিল, ‘জীবসেবা,’ এবং ‘অহিংসা পরম ধর্ম’।
প্রশ্ন: রাম কোন যুগের অবতার ছিলেন?
উত্তর: রাম ছিলেন ক্রেতা যুগের অবতার পুরুষ।
প্রশ্ন: উপাসনা কাকে বলে?
উত্তর: উপাসনার অর্থ ঈশ্বরের নিকটে বসা। যেসব কর্মের মধ্য দিয়ে আমরা ঈশ্বরকে কাছে পেতে পারি, তাকেই বলা হয় উপাসনা। উপাসনা অর্থ একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরকে ডাকা।
প্রশ্ন: নিরাকার উপাসনা কাকে বলে?
উত্তর: নিরাকার কথার অর্থ হলো যার কোনো আকার বা রূপ নেই। অদেখা ঈশ্বরকে অন্তরে ধারণ করে তাঁকে ব্রহ্মজ্ঞানে আরাধনা করাকে নিরাকার উপাসনা বলে।
প্রশ্ন: সাকার উপাসনা কাকে বলে?
উত্তর: ‘সাকার’ অর্থ যার আকার বা রূপ আছে। আকার বা রূপের মাধ্যমে ঈশ্বরকে আরাধনা করাই সাকার উপাসনা।
প্রশ্ন: উপাসনার দুটি আসনের নাম লেখো।
উত্তর: উপাসনার দুটি আসন হলো পদ্মাসন ও সুখাসন।
প্রশ্ন: সমবেত উপাসনা কীভাবে করতে হয়?
উত্তর: একসঙ্গে বসে উপাসনা করাকে বলে সমবেত উপাসনা। এ জন্য সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট দিন ও সময় ঠিক করতে হবে। সেদিন সকলে মন্দিরে বা পবিত্র স্থানে মিলিত হতে হবে। তারপর একসঙ্গে বসে উপাসনা করতে হবে। উপাসনার সময় কোনো গোলমাল বা উচ্চ স্বরে শব্দ করা যাবে না। উপাসনার সময় অবশ্যই সোজা হয়ে বসতে হবে।
প্রশ্ন: উপাসনা কীভাবে করতে হয়?
উত্তর: প্রতিদিনের উপাসনাকে নিত্য উপাসনা বলে। এ রকম উপাসনায় প্রতিদিন তিনবার উপাসনা করতে হয়। সকালে মধ্যাহ্নে ও সন্ধ্যায় হাত-মুখ ধুয়ে পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে হবে। তারপর উপাসনায় বসতে হবে। এরূপ উপাসনা মন্দিরে অথবা ঘরে বসে করা যায়।
# বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
শিক্ষক