এসএসসি চলাকালে রাতে মাইক বাজিয়ে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধের অনুরোধ শিক্ষামন্ত্রীর

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটেছবি: প্রথম আলো

সারা রাত মাইক বাজিয়ে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ করে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে যেন এটি না করা হয়, সে বিষয়ে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেখা যায় অনেক উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে শুধু সংগীতানুষ্ঠানই নয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠানও করা হচ্ছে। অনেক সময় সারা রাত মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান হয়। এসএসসি পরীক্ষার সময় এ ধরনের অনুষ্ঠান অমানবিক। অন্যান্য সময়ও সারা রাত মাইক বাজানো সমীচীন নয়। সারা রাত মাইক বাজানো রোগী, পরীক্ষার্থী—সবার জন্যই একটি অসুবিধা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আলেম–ওলামা এবং অন্যান্য ধর্মের নেতাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, এই সংস্কৃতি থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জীবনের অংশ। কিন্তু পরীক্ষার সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে যেন না করা হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।

আজই শুরু হয়েছে ২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবারের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪৮ হাজার। দেশের ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে হবে এই পরীক্ষা। সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৪ মার্চ।

প্রতিবছরই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তবে নতুন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনে যাননি। শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শনের কারণে শিক্ষার্থীদের ওপর একধরনের হয়রানিমূলক পরিস্থিতি, মানসিক যন্ত্রণা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। অবশ্য পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আজ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।