দেশসেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিল শিক্ষা বিভাগ
এ বছরের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে সারা দেশে কয়েক ধাপের প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশসেরা হওয়া শিক্ষার্থী, শ্রেণিশিক্ষক, প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ বিভিন্ন পর্যায়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিল শিক্ষা বিভাগ। এবার বিভিন্ন শ্রেণিতে মোট ২২০ জন পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ৫ ও ৬ জুন জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয়। এবার শ্রেষ্ঠ চার শিক্ষার্থী হলো বিদ্যালয় পর্যায়ে টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাবাহ বিনতে বায়েজিদ, কলেজ পর্যায়ে রাজশাহী কলেজের মোসা. আফরা মেহজাবীন, মাদ্রাসা পর্যায়ে গোপালগঞ্জ ছালেহিয়া কামিল মাদ্রাসার ছাত্র মো. রহমাতুল্লাহ এবং কারিগরি পর্যায়ে রংপুরের আইডিয়াল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ছাত্র মো. রাগীব ইয়াসির রোহান।
ভোলার লালমোহন সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. হোসনে আরা বেগম এবার বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক হয়েছেন। এ ছাড়া কলেজ পর্যায়ে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক মো. জুলফিকার হায়দার, মাদ্রাসা পর্যায়ে রংপুরের ধাপ-সাতগাড়া বায়তুল মুকাররম মডেল কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক মো. মিজানুর রহমান এবং কারিগরি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শ্রেণিশিক্ষক হয়েছেন কুমিল্লার আফজল খান কারিগরি ও কমার্স কলেজের শিক্ষক মো. নিজামুদ্দীন।
অন্যদিকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানপ্রধান হয়েছেন বিদ্যালয় পর্যায়ে ঢাকার মিরপুরের মডেল একাডেমির শুভাশীষ কুমার বিশ্বাস, কলেজ পর্যায়ে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক জুবাইদা আয়েশা সিদ্দিকা, মাদ্রাসা পর্যায়ে কুষ্টিয়ার সদরের আফসার উদ্দিন গার্লস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার হাফেজ মোহা. আবদুল করিম এবং কারিগরি পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানপ্রধান হয়েছেন বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মো. রুহুল আমিন। আর সেরা চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যালয় পর্যায়ে সাভারের সেনা পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কলেজ পর্যায়ে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ, মাদ্রাসা পর্যায়ে বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ছিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা এবং শ্রেষ্ঠ কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয়েছে রাজশাহী মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
এ ছাড়া রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, উচ্চাঙ্গসংগীত, লোকসংগীত, জারিগান (দলভিত্তিক), উচ্চাঙ্গ নৃত্য, লোকনৃত্য, ইংরেজি রচনা ও ইংরেজি বক্তৃতা এবং হামদ ও নাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।