কৃষি গুচ্ছ পরীক্ষা, বাকৃবিতে উপস্থিতি ৯০ শতাংশ, ফল ১৫ এপ্রিল হতে পারে

ছবি: দীপু মালাকার

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদের আওতাধীন বিভিন্ন ভবন, ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে অবস্থিত স্কুল ও কলেজ মিলিয়ে মোট ২২টি অঞ্চলের ২৪৬টি কক্ষে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবি কেন্দ্রের পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ৬৬৫ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১১ হাজার ৫১১ জন পরীক্ষার্থী। উপস্থিতির হার দাঁড়ায় ৯০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. শহীদুল হক, রেজিস্ট্রার ও কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব কৃষিবিদ মো. হেলাল উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম, নিরাপত্তা শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা।

পরীক্ষার কক্ষ পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার কথা জানা যায়নি। অন্যান্য কেন্দ্রের বিষয়েও খোঁজ নিয়েছি। সারা বাংলাদেশেই সুশৃঙ্খলভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ১৫ এপ্রিল পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।’

আরও পড়ুন

ভবিষ্যতে বাকৃবি কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘বাকৃবি এ বছরই কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসার সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের অনুরোধকে সম্মান জানিয়ে এবং দেশের পরিস্থিতিতে বাস্তবতাকে স্বীকার করে বাকৃবি এ বছর কৃষি গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত থেকেছে। ভবিষ্যতেও যদি এ ধরনের অনুরোধ আসে, তাহলে বাকৃবির হাতে ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব দিতে হবে। গুচ্ছে যদি থাকতেই হয় তাহলে আগামী পাঁচ বছর বাকৃবিকে ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দিতে হবে। আমরা আর কোনোভাবেই পরীক্ষা বা প্রশ্নপত্রের মানে ছাড় দেব না।’

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে সন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের প্রশ্ন ছিল অনেকটাই মানসম্মত। তবে শর্ট সিলেবাসের বাইরেও কিছু প্রশ্ন এসেছে বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন।

নেত্রকোনা থেকে ছোটবোনকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে এসেছিলেন আয়েশা। তিনি বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি থাকার কারণে নিজ এলাকাতেই পরীক্ষার কেন্দ্র বেছে নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। এতে যাতায়াতের যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনি খরচও কমে গেছে।’

এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৮৬৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৯৪ হাজার ২০ জন শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৯টি কেন্দ্র এবং ১৩টি উপকেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা হলো—বাকৃবিতে ১১১৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩৫, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮০, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪২৩, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৯ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮০টি।

আরও পড়ুন