একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ক্লাস আগামী মাসে

প্রতীকী ছবি

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির কাজ শুরু হয়েছে আজ রোববার থেকে। চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভর্তির কাজ শেষে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনলাইনে ক্লাস শুরু হবে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া যাবে। তবে এটা ঠিক যে কত শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো যাবে সেটা একটা বিষয়। কিন্তু এই অবস্থায় বসে থাকা যায় না। যত দূর সম্ভব এটি চালিয়ে নেওয়া হবে। পরে যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তখন শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়া হবে।

গত ৯ আগস্ট শুরু হয়েছিল ভর্তির আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া। আবেদন গ্রহণ, বাছাই, মাইগ্রেশনসহ অন্যান্য ধাপ শেষে এখন ভর্তির কাজটি চলছে।

এলাকাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির ফি ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এ ছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে এবার ভর্তির সময় একাডেমিক ট্রান্স ক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্রসহ কোনো ধরনের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে না। কিন্তু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে কোথাও কোথাও এর ব্যত্যয় ঘটছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেবেন।

কোন এলাকায় কত ফি

মফস্বল বা পৌর (উপজেলা) এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সাকল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তিন হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

আর ঢাকা মহানগর এলাকায় অবস্থিত এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি আদায় করা যাবে না। তবে ঢাকা মহানগর এলাকায় অবস্থিত আংশিক এমপিওভুক্ত বা এমপিও-বহির্ভূত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও-বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ, উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে সাত হাজার এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার টাকা নিতে পারবে। তবে উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান দেড় হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।

তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের আর্থিক অসচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ওই সব ফি যত দূর সম্ভব মওকুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।