মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ এপ্রিল। ওই দিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১৯টি কেন্দ্রের ৫৪টি ভেন্যুতে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কোনো প্রলোভনে পা না দেওয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে কিছু কুচক্রী, দুর্নীতিবাজ ব্যক্তি বা গ্রুপ কোচিং সেন্টারের নামে বা ব্যক্তিগতভাবে অনলাইনের মাধ্যমে (ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো) মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে ১০০ শতাংশ কমন সাজেসন্স বা গ্যারান্টি সহকারে ভর্তির কথা বলে গোপনে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করে থাকে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এমন টাকা সংগ্রহ করে প্রতারক চক্র অর্থিকভাবে লাভবান হয়ে থাকে। এ কাজ জনস্বার্থের পরিপন্থী। এমন প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সব শিক্ষার্থীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কঠোর গোপনীয়তার মধ্য এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন ও পরবর্তী সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, কেউ যদি এমন কোনো প্রলোভন দেখায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের হটলাইন (০১৭৫৯১১৪৪৮৮) নম্বরে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

পরীক্ষাপদ্ধতি ও মেধাতালিকা কীভাবে হবে

পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ১ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ২০, রসায়নে ২৫, জীববিজ্ঞানে ৩০, ইংরেজিতে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ১০ নম্বর (মোট ১০০) থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে বিবেচিত হবেন। কেবল কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধাতালিকাসহ ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ২০০ নম্বর হিসেবে নির্ধারণ করে মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।