ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নাতি-নাতনি নয়, কোটা শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের: উপাচার্য
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা থাকছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনির কোনো কোটা থাকছে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান গতকাল শনিবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
উপাচার্য নিয়াজ আহমদ খান বলেন, এবারের পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কোনোরকমের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা নিয়ে যৌক্তিক সংস্কার আনা হয়েছে। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের কোটা রেখে নাতি-নাতনিদের কোটা বাদ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল দেশব্যাপী আটটি বিভাগীয় শহরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা চলে। মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার জন্য। প্রতিটি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৩ জন শিক্ষার্থী।
৩ জানুয়ারি ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১২০ আসনের জন্য ১০ হাজার ২৭০ পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। আইবিএর একটি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় ৮৬ জন শিক্ষার্থী। ৪ জানুয়ারি চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১৩০ আসনের জন্য ৬ হাজার ৮৩ শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এ ইউনিটে একটি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী। এই দুই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
গত শুক্রবার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২ হাজার ৯৩৪ আসনের জন্য পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১ হাজার ৫০ আসনে ভর্তি হতে ৪০ হাজার ৯৭৩ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগিতা হবে ৩৯ ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীর মধ্যে।
১৫ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ১ হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি হতে। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৭৭ জন শিক্ষার্থী।
সব ইউনিটের পরীক্ষা (আইবিএ ছাড়া) শুরু হবে বেলা ১১টায়। পরীক্ষা চলবে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
নম্বর ও সময় বণ্টন
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। পরীক্ষার সময় ৪৫ মিনিট। লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরে হবে ৪৫ মিনিটে।
বিজ্ঞান ইউনিটে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ৪৫ মিনিট। লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরে হবে ৪৫ মিনিটে।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে ৬০ নম্বরে। পরীক্ষার নির্ধারিত সময় ৪৫ মিনিট। লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরে হবে ৪৫ মিনিটে।
চারুকলা ইউনিটে (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ৩০ মিনিটের সাধারণ জ্ঞান এমসিকিউ হবে ৪০ নম্বরে। ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা হবে ৩০ মিনিটে।
আইবিএ ইউনিটের ৭০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট। লিখিত পরীক্ষা ৩০ নম্বরের। এ পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট।