শাটলে সূচি বিপর্যয়, দেরিতে শুরু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা

শাটল ট্রেনে সূচির বিপর্যয়ের কারণে ১৫ মিনিট পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আজ সোমবারের পরীক্ষা শুরু হবে ১৫ মিনিট পরেফাইল ছবি প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের সূচির বিপর্যয়ের কারণে আবারও ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছে ভর্তি পরীক্ষা। আজ সোমবার ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।

এই ইউনিটের সকালের পালায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল বেলা ১১টা। কিন্তু শাটলের সূচির বিপর্যয়ের কারণে পরীক্ষা শুরু হয় ১১টা ১৫ মিনিটে।

পরীক্ষা দেরিতে শুরু হওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ডি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার প্রধান সমন্বয়কারী ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শাটল ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে ক্যাম্পাসে এসেছে। এ কারণে সব শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য ১৫ মিনিট দেরিতে পরীক্ষা শুরু করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেন। নগরের বটতলী থেকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে এটি দিনে নয়বার যাওয়া–আসা করছে। ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ শাটলে যাতায়াত করে। এ কারণে যদি শাটলের সূচির বিলম্ব হয়, তাহলে পরীক্ষাও বিলম্বে শুরু হয়। এর আগে ১৬ মে এ ইউনিট ও ১৮ মে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষাও ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল। প্রথম দিন অতিবৃষ্টির কারণে শাটলের লাইনের ত্রুটি দেখা দেওয়া আর দ্বিতীয় দিন কোচের পার্টস নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ নগরের বটতলী থেকে ছেড়ে আসা সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের ট্রেনের সূচির বিপর্যয় হয়েছিল। ট্রেনটি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় ছিল ৯টা ১৫ মিনিট। তবে এটি ক্যাম্পাসে পৌঁছেছে সকাল ১০টা ৮ মিনিটে।

আজ শাটলের সূচির বিপর্যয়ের কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার রতন কুমার চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নগরের বটতলী থেকে এটি নির্ধারিত সময়েই ছেড়েছে। রাস্তায় কোনো সমস্যা হয়েছিল কি না, তা জানার জন্য তিনি রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। পরে রেলওয়ে নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের (কন্ট্রোল অফিস) একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেননি।

সমাজবিজ্ঞান, আইন অনুষদভুক্ত সব বিভাগ ও জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা আর মনোবিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে ডি ইউনিট। আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার মোট তিনটি পালায় এই ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আজ সকালের শিফটে পরীক্ষা দেবেন ১৬ হাজার ৩৯৩ জন, বিকেল ১৬ হাজার ৩৯৩ জন। আর কাল সকালে পরীক্ষায় বসবেন ১৬ হাজার ৩৯২ জন। অর্থাৎ তিন পালায় মোট পরীক্ষা দেবেন ৪৯ হাজার ১৭৮ জন। ডি ইউনিটের মোট আসন রয়েছে ৯৫৮টি। সেই হিসাবে এক আসনের বিপরীতে পরীক্ষা দিচ্ছেন প্রায় ৫১ জন (৫১.৩৩)।