‘সি’ ইউনিটের প্রশ্নে বানান ভুল, শিক্ষকের ক্ষোভ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সি' ইউনিটের প্রশ্নে বানান ভুল। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীবছবি: শিক্ষকের ফেসবুক থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক শ্রেণিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একাধিক বানান ভুল পাওয়া গেছে। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি এইচ হাবীব। আজ শনিবার দুপুরে প্রশ্নপত্রের ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে তিনি এ ক্ষোভ জানান।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ছয় বিভাগ নিয়ে গঠিত ‘সি’ ইউনিট। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চট্টগ্রামসহ ঢাকা ও রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা চলে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সাধারণত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রশ্ন ফেরত নেওয়া হয়। এ কারণে বাইরের কেউ কী প্রশ্ন হয়েছে, তা জানতে পারেন না। তবে শিক্ষক জি এইচ হাবীব পরীক্ষার হলে পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিধায় তিনি প্রশ্ন দেখতে পেরেছেন। পরে তিনি ভুল শনাক্ত করে নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। ক্ষোভ জানিয়ে প্রশ্নপত্রে কেন এত ভুল থাকবে, সে প্রশ্নও করেছেন।

এতে দেখা যায়, দুই নম্বর সেটের সমস্যা সমাধান অংশের ৫১ থেকে ৬৫ পর্যন্ত প্রশ্নের মধ্যে মোট বানান ভুলের সংখ্যা ১২টি। বেশির ভাগই ভুলই ‘ণ’–এর ব্যবহারে। প্রশ্নে ঘণ্টার বদলে ‘ঘন্টা’, ভ্রমণের বদলে ‘ভ্রমন’ ও পরিমাণের বদলে ‘পরিমান’ লেখা হয়েছে।
জানতে চাইলে জি এইচ হাবীব প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের ভাষার ব্যাপারে যত্নশীল না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র থেকে শুরু করে প্রায় সব দাপ্তরিক চিঠিতে বানান কিংবা বাক্য গঠনগত ভুল দেখা যায়৷ কিন্তু কেউ এসব গুরুত্ব দেয় না, আবার ভুলের দায়ও স্বীকার করে না। এ জন্য ভুলের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।’

বানান ভুলের বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন নিজামী প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র যথার্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ ভুল (টিপিক্যাল মিসটেক) হতেই পারে। এটা গুরুতর কোনো বিষয় না। আর আমি মনে করি না বানানের কোনো ভুল রয়েছে। কারণ, অনেক ধরনের বাংলা বানানের প্রচলন রয়েছে৷ বিজয়, বাংলা একাডেমি, চলিত, কলকাতা ইত্যাদির মধ্যে থেকে ওই শিক্ষক কোনটা বেছে নিয়েছেন, সেটা বুঝতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা হয় ১২০ নম্বরে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর বহুনির্বাচনী পদ্ধতিতে ও বাকি ২০ নম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের জিপিএ থেকে নেওয়া হয়। এবারের  ইংরেজিতে ৪০, বিশ্লেষণ দক্ষতায় ৩০ ও সমস্যা সমাধান (প্রবলেম সলভিং) অংশে ৩০ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। এ বছর ৬৪০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৭ হাজার ৩০০। তবে এর মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৯৬।