একাদশে ভর্তি: দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির আওতায় ২ লাখ ৪০ হাজার শিক্ষার্থী

ফাইল ছবি

একাদশ শ্রেণিতে দ্বিতীয় ধাপের আবেদন ও প্রথম ধাপের মাইগ্রেশনের পর আরও দুই লাখ ৪০ হাজার ৬৫৭ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন কলেজে ভর্তির মনোনয়ন পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপে পছন্দের কলেজে মনোনয়ন পেয়েছিল ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী। ১৩ লাখ ৪২ হাজারের বেশি ভর্তি-ইচ্ছুক আবেদন করেছিলেন। আবেদন করেও পছন্দের কলেজ পায়নি ৬৪ হাজার ৯৭২ জন। আর ১৪৮টি কলেজ কোনো শিক্ষার্থী পায়নি। এ ছাড়া ২ লাখ ৫১ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে ভর্তির আবেদন করেনি। সিলেকশন না পাওয়া এবং আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় আবেদনের সুযোগ পেয়েছেন।

যেসব শিক্ষার্থী এখনো কলেজে ভর্তির মনোনয়ন পায়নি তারা তৃতীয় ধাপে আবেদনের সুযোগ পাবেন।

৩১ মে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়। এতে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী, যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন চলবে আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামীকাল রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে।
গত ৯ আগস্ট সকাল থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হবে।

তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। ভর্তি-ইচ্ছুকদের পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল ও তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত আটটায়। তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত আটটা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল আটটায়। ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

ফাইল ছবি

বোর্ডের তথ্য মতে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য প্রথম ধাপে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছে। সব বোর্ড মিলে মোট আবেদন করেছিল ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩ জন। এর মধ্যে ৬৪ হাজার ৯৭২ জন ভর্তির জন্য কোনো সিট পায়নি। এ ছাড়া সারা দেশে ১৪৮ কলেজে কেউ আবেদন করেনি।

আন্তশিক্ষা বোর্ডের তথ্যমতে, এসএমএসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ফল জানানো হবে। একই সঙ্গে একটি সিকিউরিটি কোড পাঠানো হবে। কোডটি ভর্তি নিশ্চয়নের জন্য সংগ্রহ করতে হবে। আর ভর্তির নির্ধারিত ওয়েবসাইট এ ফল জানা যাবে।
মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ, নগদ ও টেলিটকের মাধ্যমে ২০০ টাকা ফি জমা দিয়ে সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এ ছাড়া সোনালী সেবা ও সোনালী ওয়েব পেমেন্টের মাধ্যমে ২০০ টাকা ভর্তি নিশ্চয়ন ফি দেওয়া যাবে।

করোনার কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়া ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয় ৯ আগস্ট সকালে। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে ভর্তি কার্যক্রম।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীন কলেজ ও মাদ্রাসার ভর্তির কাজটি হচ্ছে। আর টেলিটক সিমের মাধ্যমে এসএমএস করে আবেদন করা গেছে। পছন্দক্রম দিয়ে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পেরেছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে এবার ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার কোটা ছাড়া অন্য কোটা থাকবে না। তবে প্রতিবন্ধী, বিকেএসপির শিক্ষার্থী, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য সাফল্যের অধিকারী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ জন্য তাদের সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে।
৩১ মে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়। এতে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী, যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছে।

ঢাকা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ভর্তির জন্য আসন আছে ২২ থেকে ২৩ লাখ। তাই উচ্চমাধ্যমিকে আসন নিয়ে সমস্যা হবে না। কারণ, আসন খালি থাকবে। তবে সংকট হলো, ভালো কলেজগুলোতে আসন কম। সেখানেই হবে তীব্র প্রতিযোগিতা।
চলতি বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মোট ২০ লাখ ৪০ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ৯৫ হাজার ৮৯৫ জন শিক্ষার্থী। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আলাদাভাবে এইচএসসি ভোকেশনাল, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ও বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করছে।
সে হিসাবে এসএসসি ও দাখিল পাস করেছে ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯২৮ জন, যাদের মধ্যে ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩ জন প্রথম ধাপে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেছিল। সে হিসাবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৩১ জন শিক্ষার্থী প্রথম ধাপে এইচএসসি বা আলিমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করেনি।