করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা

২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হবে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করেই দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণ করা হবে। আপাতত করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য মীজানুর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় ঠিক করা হবে না। করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেই পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ, শিক্ষার্থীদের সরাসরি প্রতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের কীভাবে পরীক্ষা হবে, সে বিষয়ে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা উচ্চমাধ্যমিকে কমন যে বিষয়গুলো পড়ে এসেছে, সেগুলোর ওপর পরীক্ষা হবে। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

মীজানুর রহমান বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার গুচ্ছ পদ্ধতির টেকনিক্যাল বিষয়গুলো আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হবে।

আরও পড়ুন

২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা কীভাবে হবে, তা ঠিক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষা হবে বহুনির্বাচনী প্রশ্নে (এমসিকিউ)। উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা (বাণিজ্য) বিভাগের জন্য আলাদা তিনটি পরীক্ষা হবে। বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আগের মতো আলাদা পরীক্ষা হবে না।

অর্থাৎ একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তির সুযোগ পাবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমেই নিজ বিভাগের পাশাপাশি অন্য বিভাগভুক্ত বিষয়েও ভর্তি হওয়া যাবে। সেভাবেই বিষয়ভিত্তিক আসন রাখা হবে।

সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী)।