গুচ্ছ ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শেষ বৃহস্পতিবারেই

ফাইল ছবি

গুচ্ছ ভিত্তিতে অনুষ্ঠেয় দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক আবেদন কার্যক্রম শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল)। এরপর ২৩ এপ্রিল যোগ্যপ্রার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। আর ২৪ এপ্রিল থেকে চূড়ান্ত আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। গত রোববার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত আবেদন জমা পড়েছে প্রায় তিন লাখের মতো। তবে প্রাথমিক আবেদনের সময় আর বাড়ছে না।

অনলাইন আবেদন শুরু হওয়ার পর রোববার পর্যন্ত ২ লাখ ৯২ হাজার ৮২৩টি আবেদন জমা হয়েছে। তার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৭১ হাজার ২৫৬টি, ‘বি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগে ৮০ হাজার ৬২৯টি এবং ‘সি’ ইউনিটিতে মানবিকে ৪০ হাজার ৯৩৭টি আবেদন এসেছে । ২৪ এপ্রিল চূড়ান্ত আবেদন কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ ধাপে শিক্ষার্থীদের ছবি, কেন্দ্র পছন্দ, আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।

২০ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এবার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হবে
ফাইল ছবি

রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক আবেদনকারীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে (এসএসসি ও এইচএসসির ফল) চূড়ান্ত প্রার্থীদের আবেদন ফি ১০০ টাকা বৃদ্ধি করে ৬০০ টাকা করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক আবেদনের সর্বশেষ সময় ১৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা হবে না। যেসব শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকবে, তাঁরা সবাই প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে বাছাই করা শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ৬০০ টাকা জমা দিয়ে ২৪ এপ্রিল থেকে ১০ মের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন।

ভর্তির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রাথমিক আবেদনে শিক্ষার্থীদের কোনো ফি দিতে হবে না। ২০১৯ ও ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা প্রাথমিক আবেদন করতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ বিজ্ঞান শাখার জন্য ন্যূনতম ৮.০০, বাণিজ্য শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.৫০ ও মানবিক শাখার জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৭.০০ থাকতে হবে। প্রতিটি শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ থাকতে হবে।

প্রাথমিক আবেদনের ফল কবে

প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ২৩ এপ্রিল। প্রাথমিক আবেদনকারীদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে (এসএসসি ও এইচএসসির ফল) চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাই করা হবে, যাঁরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। চূড়ান্ত প্রার্থীরা আবেদন করবেন ২৪ এপ্রিল থেকে ২৫ মে পর্যন্ত। ৩১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীরা ন্যূনতম ৫টি কেন্দ্র পছন্দের তালিকায় রাখতে পারবেন।

পরীক্ষা কবে

আগামী ১৯ জুন ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান), ২৬ জুন ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) ও ৩ জুলাই ‘সি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এক ঘণ্টার পরীক্ষা দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত।

দেড় ঘণ্টা সময়ে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বিভাগের পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম প্রস্তুত করে ওয়েবসাইটে (gstadmission.org) প্রকাশ করা হবে। এরপর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় আলাদাভাবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের শর্ত উল্লেখ করে আবেদন আহ্বান করবে এবং মেধাক্রম অনুসারে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

গুচ্ছ পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।