চবিতে ভর্তির আবেদন দেড় লাখ ছাড়াল, পেছাতে পারে পরীক্ষা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশন
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে বিভিন্ন ইউনিট, উপ-ইউনিটে ১লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ১২ এপ্রিল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ভর্তি-ইচ্ছুকেরা এ আবেদন করেন। আজসহ আরও ৯ দিন এ আবেদন করা যাবে।

১২ এপ্রিল অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারতেন। এখন এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন ৭ মে রাত ১২টা পর্যন্ত। টাকা জমা দেওয়া যাবে ১১ মে পর্যন্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য শিরীণ আখতার প্রথম আলোকে বলেন, আবেদন দেরিতে শুরু হয়েছিল। এ কারণে ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে।

দুটি তারিখ পরিবর্তন

আবেদনের সময় বাড়ানোর কারণে দুটি তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে ৯ মে পর্যন্ত আবেদনপত্র সংশোধনের তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। এখন সংশোধন করা যাবে ১৮ মে পর্যন্ত। আর প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা যাবে ৭ জুন থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে পর্যন্ত। প্রবেশপত্র সংগ্রহ ১ জুন থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ভর্তির বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। ওয়েবসাইট লিংক: (https://admission.cu.ac.bd/)।
এবারও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।

পরীক্ষা পেছানোর সম্ভাবনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ইতিমধ্যে পেছানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাও পেছানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য শিরীণ আখতার। তবে পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২২ ও ২৩ জুন, ‘ডি’ ইউনিটে ২৪ ও ২৫ জুন, ‘এ’ ইউনিটে ২৮ ও ২৯ জুন, ‘সি’ ইউনিটে ৩০ জুন এবং ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে ১ জুলাই।

উপাচার্য শিরীণ আখতার প্রথম আলোকে বলেন, করোনা সংক্রমণের হার না কমলে বা পরিস্থিতি আরও নাজুক হলে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পেছানো হবে। তবে এটি নিয়ে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাও পেছানো হতে পারে।

কোন ইউনিটে কত আবেদন

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে আবেদন করেছেন ৬২ হাজার ৫৮ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া ‘বি’ ইউনিটে ৩৯ হাজার ২৬৩, ‘সি’ ইউনিটে ১২ হাজার ৪০৭, ‘ডি’ ইউনিটে ৪৮ হাজার ৩৯২, ‘বি-১’ উপ ইউনিটে ২ হাজার ৮৮৪, ‘ডি-১’ উপ ইউনিটে ৩ হাজার ৯৮৩ জন ভর্তি-ইচ্ছুক আবেদন করেছেন।

আসনসংখ্যা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন আছে। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি, ‘বি’ ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, ‘সি’ ইউনিটে ৪৪১টি, ‘ডি’ ইউনিটে ১ হাজার ১৬০টি। উপ-ইউনিটের মধ্যে ‘বি-১’ ইউনিটে ১২৫টি ও ‘ডি-১’ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে।