সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারির ফল দেখবেন যেভাবে

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির লটারি ফল আজ সোমবার বিকেলে প্রকাশ করা হয়েছে। বিকেলে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ভর্তির ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। পরে রাজধানীর একটি স্কুলের শিক্ষার্থী বোতম টিপে লটারির কার্যক্রম শুরু ও ফল প্রকাশ করা হয়।

স্কুলগুলোতে লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণিতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনের বিপরীতে এ ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হলো।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

লটারি শেষ হওয়ার পর প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও অভিভাবকেরা টেলিটকের ওয়েবসাইট (https://gsa.teletalk.com.bd/) থেকে নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। লটারি কার্যক্রম মাউশির ফেসবুক পেজ http://www.facebook.com/dshe.moebd, ইউটিউব চ্যানেল এবং টেলিভিশন চ্যালেনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা ফল ডাউনলোড করে জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতিকে ই–মেইল করবেন। একই সঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে জানাতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির ক্ষেত্রে ভর্তি কমিটির সভা ডাকতে হবে। আর যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ভর্তি লটারির বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানিয়ে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

দুই দফায় ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এবার ভর্তির আবেদন টেলিটকের নির্ধারিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে নেওয়া হয়। প্রথম দফায় গত ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর ভর্তি লটারির নির্ধারিত দিন ছিল। তবে নির্ধারিত শ্রেণিতে ভর্তির নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কয়েক দিন কম হওয়ার কারণেও বিপুলসংখ্যক ভর্তি–ইচ্ছুক আবেদন করতে পারেনি। এরপর এক শিক্ষার্থীর বাবার রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত ২৯ ডিসেম্বর ভর্তি আবেদনের সময় আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ষষ্ঠ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১১ বছর বয়সের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া শর্তটিও স্থগিত করেন হাইকোর্ট। ফলে ১১ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদেরও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা রইল না। উচ্চ আদালতের এ আদেশের পর সেদিনই ভর্তি লটারি স্থগিত ঘোষণা করে মাউশি। পরে আবেদনের সময় আরও সাত দিন বাড়িয়ে ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হয়।

বিভাগভিত্তিক আবেদনের সংখ্যা
ঢাকা বিভাগে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬১০টি, বরিশালে ১৬ হাজার ২৮৭, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৮, রাজশাহীতে ৭০ হাজার ৮১২, খুলনায় ৪৩ হাজার ৫০৬, রংপুরে ৬৯ হাজার ৫২৩, সিলেটে ২৪ হাজার ৫৭৩ এবং ময়মনসিংহে ৪৯ হাজার ৬০টি আবেদন রয়েছে বলে জানা গেছে।

শ্রেণিভিত্তিক আবেদন
প্রথম শ্রেণিতে ৪২ হাজার ৩৭২টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১২ হাজার ৬৮৫, তৃতীয় শ্রেণিতে ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৪, চতুর্থ শ্রেণিতে ২২ হাজার ৯৬৮, পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৬ হাজার ৭৩৪, ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৬, সপ্তম শ্রেণিতে ১১ হাজার ৫৩১, অষ্টম শ্রেণিতে ২১ হাজার ৩৯৩ এবং নবম শ্রেণিতে ৩৫ হাজার ৫৩৬টি আবেদন রয়েছে।