আপন আঙিনায় আনন্দ আয়োজন

বিজয়ের মাসে ড্যাফোডিল মাঠে লাল–সবুজের বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত
বিজয়ের মাসে ড্যাফোডিল মাঠে লাল–সবুজের বাংলাদেশ। ছবি: সংগৃহীত

গত ২১ ডিসেম্বর আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে উদ্​যাপিত হলো ‘ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ডে ২০১৮ ’। রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে থাকা ড্যাফোডিল গ্রুপের সব অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা একত্র হন এই দিনটিতে। দিনব্যাপী নানা বৈচিত্র্যময় আয়োজনে উৎসবমুখর থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

শুরুটা হয় শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে। একাডেমি ভবন–১ চত্বরে প্রায় ১৬টি স্টলে ‘স্টার্ট আপ মার্কেট’-এ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন ড্যাফোডিলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। নিজেদের হাতে গড়া নানা রকম সাজসজ্জার সরঞ্জাম, পানির কৃত্রিম ফোয়ারা, খেলনা, গয়না, জামা, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো আঁকা টি–শার্ট, বর্ণিল ল্যাম্পশেড, বইয়ের দোকান, আরও কত কী ছিল এই ছোটখাটো মেলায়! ঝাল খেয়ে যাঁরা চোখ লাল করতে চান, তাঁদের জন্য মরিচের চা ছিল ‘চা ওয়ালা’ স্টলে। সুপারম্যান, স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, ডোরেমনের ছাপ কাগজে বানানো ঘুড়ি, বাঁশের লাটাই এমনকি ফানুসও চোখে পড়ল।

ক্যাম্পাসের বিশাল মাঠটাতে ক্রিকেট ও ফুটবল—জমেছিল দুটোই। দুপুরের খাবারের পর একই মাঠে মানব মানচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয় পুরো বাংলাদেশ—‘বিজয়ের মাসে ড্যাফোডিল মাঠে লাল–সবুজের বাংলাদেশ’। চলে শিশুদের বিস্কুট দৌড়, গলফ খেলা। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল কু-ঝিকঝিক রেলগাড়ি, নাগরদোলা, লম্ফঝম্প মঞ্চসহ বিভিন্ন রাইড, এমনকি ঘোড়ায় চড়ার সুযোগও। বিচিত্র বর্ণিল পোশাক আর রং মেখে সং সেজে আনন্দ দিয়েছে কেউ কেউ। মাঠের এক পাশে দেখা গেল বানর নাচের উপস্থিতিও!

শেষ বিকেলের আয়োজন বসে ক্যাম্পাসের মিলনায়তনে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি সম্পর্কে নানা তথ্য। তিনি জানান, শিগগিরই আফ্রিকার দুটি দেশ সোমালিয়া ও নাইজেরিয়ার দুটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের নিজেদের ক্যাম্পাসে ড্যাফোডিলের অধীনে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করতে যাচ্ছে। থাকবে সফটওয়্যার প্রকৌশলসহ আরও কিছু বিষয়।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করায় অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হয়। ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সব শেষে ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই আনন্দ আয়োজন।