‘অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা ছিল সাকিফ, তানভীর ও আমি একসঙ্গে কোনো বিতর্কের মঞ্চে উঠব। কিন্তু তা হয়ে উঠছিল না। এবার সেই সুযোগ হলো’, বলছিলেন শাইয়ান সাদিক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির (ডিইউডিএস) দল ডিইউডিএস-অপরাজেয় বাংলার দলনেতা।
শ্রমিক দিবসকে সামনে রেখে ‘অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন ২০১৯’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশন (বিডিএফ) ও রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজন করে আন্তবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৯। আর তাতে ডিইউডিএস-অপরাজেয় বাংলার এই ত্রয়ী একসঙ্গে অংশ নিতে পারায় শাইয়ানের এমন উচ্ছ্বাস। তাঁদের এই উচ্ছ্বাস আরও বাড়ে, যখন দলটি চ্যাম্পিয়ন হয়। রাজধানীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে বসে দুই দিনের এই আয়োজন। গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
ভবিষ্যতে উন্নত বিশ্বের অভিবাসন নীতি কেমন হওয়া উচিত? জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনুন্নত বিশ্বের মানুষের করণীয়, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন যুদ্ধবিগ্রহের ফলে সৃষ্ট উদ্বাস্তু সমস্যা কিংবা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কী করা উচিত—এসব বিষয় নিয়ে এই উৎসবে বিতর্কের মঞ্চ মাতিয়েছেন বিতার্কিকরা। দেশের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪টি দল এতে অংশ নেয়।
ফাইনালে অংশ নেওয়া দুই দলকে বিতর্ক করতে হয় ‘এই সংসদ মনে করে, অভ্যন্তরীণ অভিবাসন টেকসই নগরায়ণের প্রধান অন্তরায়’ বিষয়ে। ডিইউডিএস-অপরাজেয় বাংলা ছাড়া ফাইনালের আরেক দল ছিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইনালে সরকারি দল ছিল প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল আর রানার্সআপ দল ছিল বিরোধী দল। অপরাজেয় বাংলা ৪-১ ব্যালটের ব্যবধানে জয়লাভ করে। আর শাইয়ান সাদিক প্রতিযোগিতার শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হন। তিনি পড়ছেন অর্থনীতি নিয়ে, চতুর্থ বর্ষে। আর সাকিফ আল এহসান খান ও তানভীর হোসেন যথাক্রমে লোকপ্রশাসন ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। দুজনেই পড়ছেন দ্বিতীয় বর্ষে।
ট্যাব ফরম্যাট (লিগ পদ্ধতি) বিতর্কের সব বিতর্কে জিতেই প্রতিযোগিতার প্রথম দল হিসেবে নক-আউট পর্বের জন্য নির্বাচিত হয় সাকিফ, তানভীর ও শাইয়ানের দল। সামনের দিনগুলোতে একসঙ্গে আরও বড় মঞ্চ থেকে বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রত্যয়ী তাঁরা।