উপাচার্যের আশ্বাসে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাতটি কলেজের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। এমন আশ্বাসে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে উপাচার্যের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের বৈঠক হয়। সেখানেই এই আশ্বাস ও আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী ছাত্রদের একজন কবি নজরুল কলেজের ফয়জুর মেহেদী সাংবাদিকদের বলেন, উপাচার্যের আশ্বাসে তাঁরা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছেন।

এর আগে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁদের অন্য দাবিগুলো পূরণের আশ্বাস দেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার বড় সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। ওই সময় এসব কলেজে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৩৬ জন শিক্ষার্থী ও ১ হাজার ১৪৯ জন শিক্ষক ছিলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসার পর এই সাত কলেজের পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। যখন অধিভুক্ত হয় তখন ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার মুহূর্ত চলছিল। কিন্তু তখনো বাকি থাকে চতুর্থ বর্ষের মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও ফল আটকে থাকে। এর মধ্যে গত মে মাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোর ফল প্রকাশ হয়ে গেলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এরপর পরীক্ষার ফল প্রকাশ, সময়সূচিসহ (রুটিন) কয়েকটি দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভের সময় পুলিশের ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের শেলে চোখ হারান তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুর রহমান।

স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল রোববারও রাজধানীর নীলক্ষেত-নিউমার্কেট মোড়ে দিনভর বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে তীব্র যানজটে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে মানুষ।