জাবিতে শিক্ষকদের একাংশের মৌন মিছিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে মৌন মিছিল করেছেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি সড়ক ঘুরে পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের জন্য নেওয়া মহাপরিকল্পনা ‘অপরিকল্পিত’ দাবি করে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাংশ। আন্দোলনের মধ্যে ওই প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ছাত্রলীগকে দুই কোটি টাকা ভাগাভাগি করে দেওয়ার অভিযোগে ওঠে। পরের দিন থেকে টাকা লেনদেনের অভিযোগের বিচার বিভাগীয় তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনে নামেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এরপর ১ সেপ্টেম্বর থেকে এসব অভিযোগ ‘মিথ্যা’ ও ‘কল্পিত’ দাবি করে পাল্টা কর্মসূচি পালন করতে শুরু করেন উপাচার্যপন্থী শিক্ষকেরা।

সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘আসুন, আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করি। উপাচার্য মহোদয়ও সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধা দেওয়া ও উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা সত্যিই লজ্জার বিষয়।’

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘এই উপাচার্য দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্বে আছেন। সরকারের কাছে অনেক দেনদরবার করে এ প্রকল্পের অর্থায়ন ও অনুমোদন নিয়ে এসেছেন। অথচ একটি গোষ্ঠী এটাকে বাধা দিতে চেষ্টা করছে। আমি তাদের বলে দিতে চাই, কোনো শক্তিই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা দিতে পারবে না।’

পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন রাশেদা আখতারসহ প্রায় ৭০ জন শিক্ষক।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গণসংযোগ
বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তসহ তিন দফা দাবিতে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষদ ভবন ও চত্বর ঘুরে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। পাশাপাশি দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে দুর্নীতিবিরোধী গণসংগীত পরিবেশন করেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট ও প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অন্য দুটি দাবি হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ঘিরে তিনটি হল নির্মাণের স্থান পুনর্নির্ধারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে মহাপরিকল্পনা পুনর্বিন্যাস।