সাটুরিয়ায় 'হিট স্ট্রোকে' অসুস্থ অর্ধশতাধিক ছাত্রী

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে ভ্যাপসা গরমে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার দুপুরের দিকে এসব ঘটনা ঘটে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টা থেকে আধা ঘণ্টা রোদের মধ্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরত (পিটি) করানো হয়। এরপর শিক্ষকেরা ছাত্রদের মাঠের আগাছা পরিষ্কার করতে বলেন। তবে ছাত্ররা আগাছা পরিষ্কার করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এরপর বেলা ১১টার দিকে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ছাত্রীদের দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করানো হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন ছাত্রী অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাদের মধ্যে ৪৫ জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ছাড়া ছয় ছাত্রীকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে তাঁর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

অসুস্থ এক শিক্ষার্থীর বাবা মজিবর রহমান বলেন, ‘প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমের মধ্যে ছাত্রীদের দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার কেন করা হবে? বিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে শ্রমিক নিয়ে এ কাজ করা যেত।’কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মাঠ পরিষ্কার করতে রাজি না হওয়ায় কয়েক ছাত্রকে সহকারী শিক্ষকেরা বেত্রাঘাত করেছেন।

প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মাঠ পরিষ্কারের সময় আমি বিদ্যালয়ে ছিলাম না। খবর পেয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে আসি। ছাত্রদের বেত্রাঘাত করার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মামুন উর রশীদ বলেন, ভ্যাপসা গরমে পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে ‘হিট স্ট্রোক’–এ শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা শঙ্কামুক্ত রয়েছে।