প্রকৌশল ও সিনেমা এক সুতোয় গাঁথা

তানজীল সুলতান খান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
তানজীল সুলতান খান, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

পড়ার বিষয় কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল। আর শখ? সিনেমা বানানো। আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) শিক্ষার্থী তানজীল সুলতান খান ক্যাম্পাসে ‘সিনেমাপাগলা’ হিসেবেই বেশি পরিচিত। ডাকনাম তূর্য। জন্ম আর বেড়ে ওঠা ঢাকায়।

পড়ালেখার বেশ চাপ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য তানজীল। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনের শুরু থেকে ছিলেন এআইইউবি ফিল্ম ক্লাবের কর্মী। এ ছাড়া এআইইউবি ফটোগ্রাফি ক্লাবের একজন হয়ে নিয়মিত কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে। সাংস্কৃতিক সব আয়োজনেই চোখে পড়ে তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি।

কয়েক বছর আগে স্টপমোশন ব্যবহার করে বানানো তাঁর একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ক্যাম্পাসে সাড়া ফেলেছিল। তানজীল বলেন, ‘শখের কাজ হলেও আগ্রহ নিয়ে বেশ কিছুদিন লেগে থেকে কাজটা করেছিলাম। পড়াশোনায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। স্টপমোশনের কাজ শিখেছি, এটা একটা বড় পাওয়া।’ খুদে ছবিটি বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়।

সিনেমা তৈরির বিভিন্ন কর্মশালার একজন নিয়মিত ছাত্র তানজীল। তিনি মনে করেন, কাজে নামার আগে শেখা জরুরি। ২০১৮ সালে স্টার সিনেপ্লেক্স ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি আয়োজিত ‘স্টার-ব্র্যাকইউ ২০১৮ শর্ট ফিল্ম কনটেস্ট’ অংশগ্রহণ করে তানজীল দ্বিতীয় হন। বিভিন্ন পুরস্কার আর বন্ধুদের দেওয়া অনুপ্রেরণায় সাহসী হয়ে তিনি শুরু করেন ‘থ্রি ফিল্মস’।

পড়ালেখা কীভাবে তাঁর শখের কাজটি করতেও সহায়তা করে, সে কথা বলছিলেন এই তরুণ। ‘প্রথম দিকে দুটো সামলাতে গিয়ে একটু হিমশিম খেতাম। কিন্তু পরে দেখলাম, প্রোগ্রামিং আর কম্পিউটারের নানা শিক্ষা আমাকে সিনেমার খুঁটিনাটি বুঝতে আরও সাহায্য করছে। প্রকৌশলবিজ্ঞান আমাকে শেখাচ্ছে, কীভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্যের সঙ্গে সমস্যার সমাধান করতে হয়। অন্যদিকে সিনেমা থেকে আমি সৃজনশীলতার চর্চা করার সুযোগ পাচ্ছি।’ শেষ বর্ষের পড়াশোনা, প্রোজেক্ট, সামনের পেশাজীবন নিয়ে এখন বেশ ব্যস্ত এআইইউবির এই ছাত্র। যে করেই হোক, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের জন্য বড় একটি স্টপমোশন স্টুডিও বানাতে চান তিনি। ক্যাম্পাসজীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চান উদ্ভাবন ও সৃজনশীল পেশার দিকে।