সাংস্কৃতিক অঙ্গন তাঁর প্রাণ

পম্পি বড়ুয়া, রাঙামাটি সরকারি কলেজ
পম্পি বড়ুয়া, রাঙামাটি সরকারি কলেজ

রাঙামাটি সরকারি কলেজে সরকারি-বেসরকারি যেকোনো আয়োজন বা খেলাধুলায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ এলে অবধারিতভাবেই চলে আসে পম্পি বড়ুয়ার নাম। উপস্থাপনা, নাচ, গান, অভিনয়, আবৃত্তি ও খেলাধুলা—সবকিছুতেই তিনি আছেন। মোটকথা সাংস্কৃতিক অঙ্গনই তাঁর প্রাণ। অভিনয়, নাচ ও গানে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক শেষে সম্প্রতি ভর্তি হয়েছেন স্নাতকোত্তরে। ক্যাম্পাসে বেশির ভাগ সহপাঠী তাঁকে পপ বলে ডাকেন।

স্কুল-কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন পম্পি। অভিনয়, নাচ, গান, আবৃত্তি ও খেলাধুলার বেশির ভাগ সময় প্রথম হয়েছেন। বিজয় দিবসের কয়েক দিন আগে রাঙামাটি সরকারি কলেজের ক্যাম্পাসে বসে কথা হচ্ছিল এই প্রিয়মুখের সঙ্গে। তখন তিনি মহাব্যস্ত। বিজয় দিবস উপলক্ষে কলেজে অনুষ্ঠান হবে। অংশগ্রহণকারীদের প্রস্তুত করার দায়িত্ব পড়েছে পম্পির কাঁধে।

পম্পি বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমার গান শেখা হয়নি। আমি শিখেছি পরিবার থেকে। ছোটবেলায় মা ঝরনা বড়ুয়া গান শেখাতেন। তবে এক শিক্ষকের কাছ থেকে আমি নাচ শিখেছি।’ পরে উপস্থাপনা, আবৃত্তি, অভিনয় ও খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করেন নিজ তাগিদে। নাচে একবার ও অভিনয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে দুবার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়েছেন পম্পি বড়ুয়া। পড়ালেখা-নাচ-গান-অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা ভীষণ, তবু বন্ধুদের আড্ডায় সময় দিতে ভুল করেন না বলে জানালেন।

সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, পম্পি বড়ুয়ার সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও খেলাধুলা শুধু ক্যাম্পাসের ভেতরে সীমাবদ্ধ নয়। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাঁর ডাক পড়ে। রাঙামাটি শহরে বেড়ে উঠেছেন। পম্পির স্কুল ছিল রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। সেই স্কুলজীবন থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতি যে ভালোবাসা জন্মেছিল, সেটা বুকে ধরে রেখেই তিনি পথ হেঁটেছেন।