ঢাবিতে ইসলামের ইতিহাস বিভাগে ৮ সপ্তাহের ফল হয়নি ৬ মাসেও

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সেমিস্টার–পদ্ধতির দশম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার–পদ্ধতির নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার আট সপ্তাহের মধ্যে এই ফল প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয়নি ছয় মাসেও (১৮০ দিন)। আর এতে শিক্ষার্থীরা পড়েছেন বিপাকে।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দশম ব্যাচের দুজন শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ছয় মাসেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। ফল প্রকাশিত হয়ে গেলে তাঁরা নিশ্চিন্তে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করতে পারতেন কিংবা অন্য কোনোভাবে কর্মজীবনে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারতেন। কিন্তু ফলাফল ঝুলে থাকায় কোনো দিকেই কিছু করতে পারছেন না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক।

জানতে চাইলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান মিয়াজী গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিভাগে প্রতিটি ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক। স্নাতক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ১৯০ জন। ফলে আট সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করাটা একটু কঠিন। তা ছাড়া গত মার্চের মাঝামাঝি সময়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ আছে৷ সর্বশেষ অফিস খোলার পর আমরা ফল প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি। কয়েকজন শ্রেণিশিক্ষক এখনো তাঁদের ট্যাবুলেশন শিট জমা দিতে পারেননি। একজন শিক্ষক এখন অসুস্থ রয়েছেন। তবু আশা করছি, তিনি সুস্থ হয়ে নম্বর জমা দিলে আমরা দ্রুতই ফলাফল প্রকাশ করতে পারব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯টি বিভাগে সেমিস্টার–পদ্ধতিতে পাঠদান করা হয়। এ পদ্ধতিতে বছরকে দুই ভাগ করে প্রতি ছয় মাসে একবার করে চূড়ান্ত পরীক্ষা দিতে হয়। এভাবে আটটি সেমিস্টারে স্নাতক ও দুই সেমিস্টারে স্নাতকোত্তর করতে হয়। প্রতি সেমিস্টারে ১৫ সপ্তাহ ক্লাস, এক সপ্তাহ পরীক্ষার প্রস্তুতিকালীন ছুটি ও তিন সপ্তাহ পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকে। ক্লাসের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলভিত্তিক আলোচনা, উপস্থাপনা, শ্রেণি পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, টার্ম পেপার ও মিডটার্ম পরীক্ষা নেওয়ার নিয়ম আছে। অভ্যন্তরীণ এসব পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ নম্বর।