মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য : প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেছেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ অপরিহার্য।
গণসাক্ষরতা অভিযান ও নেটজ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে আজ সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে ‘প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শিক্ষণপদ্ধতি’ শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণসাক্ষরতা অভিযানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণে মোটিভেশনের ঘাটতি চিহ্নিত করা হয়েছে। তা সমাধানে প্রশিক্ষণ মডিউলও সংশোধন করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে মিড-ডে মিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও শিগগিরই ইতিবাচক অগ্রগতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শাহ শামীম আহমেদ। তিনি একটি গবেষণার প্রধান ফলাফল তুলে ধরে বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠ পরিকল্পনা থাকলেও দলগত কাজ, শিক্ষণ সহায়ক উপকরণের ব্যবহার, গঠনমূলক মূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত সহায়তার মতো শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষণ অনুশীলনের কার্যকর প্রয়োগ এখনো সীমিত; বিশেষ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন সাবেক সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, টিচার্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল হক, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ, রুম টু রিডের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান, এশিয়া সাউথ প্যাসিফিক অ্যাসোসিয়েশন ফর বেসিক অ্যান্ড অ্যাডাল্ট এডুকেশনের ক্যাপাসিটি সাপোর্ট অ্যাডভাইজার কে এম এনামুল হক প্রমুখ।