ব্যবসায় প্রশাসনে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে মানারাত

মানারাতের এমবিএ ডে তে বক্তৃতা দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক চৌধুরী মাহমুদ হাসান
ছবি: সংগৃহীত

যে কয়েকটি বিভাগ নিয়ে ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, তার মধ্যে ব্যবসায় প্রশাসন অন্যতম। এই বিভাগ থেকে বিবিএ ডিগ্রি নিয়ে ব্যাংক, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানসহ নানা খাতে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. নজরুল ইসলাম বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সারা বিশ্বেই এখন গুরুত্ব পাচ্ছে দক্ষ, বাজারমুখী, বাস্তবভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ। এ মানবসম্পদকে মূলধনে পরিণত করতে হলে ব্যবসায় শিক্ষাকে প্রযুক্তিনির্ভর করা জরুরি। এই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই পাঠক্রম সাজিয়েছে মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ।

ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এম হারুন-অর-রশীদ জানালেন, তাঁর বিভাগে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক দৃষ্টিকোণ থেকে পড়ালেখার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘এখানকার ছাত্রছাত্রীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়নের জন্য কোর্সের শিক্ষকেরা পর্যাপ্ত কেস স্টাডি, চলমান বিষয়ের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাসে বাধ্যতামূলক উপস্থিতি, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন। এ পদ্ধতিতে একজন দুর্বল ছাত্রও ভালো ফল করতে পারে।’ এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে নিয়মিত কর্মশালা, সেমিনার, শিক্ষাসফর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিটের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানাল বিভাগ কর্তৃপক্ষ।

বিবিএ প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন খালেদ সানাউল্লাহ। এখন নভোটেল লিমিটেডের রেভিনিউ অ্যাসুরেন্স (ফাইন্যান্স) বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে আছেন তিনি। মানারাতের এই প্রাক্তন ছাত্র বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকেরা অনেক অভিজ্ঞ। এখানে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে সহশিক্ষা কার্যক্রমের ওপরও জোর দেওয়া হয়, পরে যা কর্মস্থলের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় আমাকে সহায়তা করেছে।’

মানারাতের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অধীনে বিবিএ ও এমবিএ (রেগুলার ও এক্সিকিউটিভ) প্রোগ্রাম চালু আছে। এখানে বিবিএ পড়তে ভর্তি ফিসহ সব মিলিয়ে খরচ হবে ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এ টাকার ওপর ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তির সুযোগ আছে। এ ছাড়া মেয়াদ ভেদে এমবিএর খরচ ৬৩ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিস্তারিত জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে