মাধ্যমিকের কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে ১৮০ দিনে

সুপ্রিম কোর্ট
ফাইল ছবি

স্বীকৃত বেসরকারি কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে কার্যধারা শুরুর দিন থেকে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে বা সাময়িক বরখাস্তের দিন থেকে, যেটি আগে ওই সময়ের মধ্যে ওই কার্যধারা (আইনি ব্যবস্থা) শেষ করতে হবে বলে এক রায়ে উল্লেখ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এতে ব্যর্থ হলে ওই কার্যধারা সরাসরি বাতিল বা সমাপ্ত হবে। ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্বপদে পুনর্বহাল হবেন এবং বকেয়া সব বেতন ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন। এসব উল্লেখ করে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রতি সার্কুলার ইস্যু করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রায় ১৪ বছর সাময়িক বরখাস্ত থাকা মাগুরার এক স্কুলশিক্ষকের করা রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। তিন দফা নির্দেশনা সংবলিত রায়টি আজ সোমবার হাতে পেয়েছেন বলে জানান রিট আবেদনকারী বাদশা মিয়ার আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবীর।

আইনজীবী মো. হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, আদালত প্রত্যাশা করেন যে স্বীকৃত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ চূড়ান্ত নিষ্পত্তির আগে সাময়িক বরখাস্তের সুনির্দিষ্ট মেয়াদকাল উল্লেখ করে বিবাদীরা রেগুলেশন তৈরিতে পদক্ষেপ নেবেন বলে রায়ে এসেছে।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রিট আবেদনকারী বাদশা মিয়াকে সহকারী শিক্ষক পদে (আইন অনুসারে বয়সসীমা থাকলে) পুনর্বহাল এবং তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার বকেয়া বেতন ও অন্যান্য সুবিধা এই সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।