বিইউবিটিতে আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতা  চলছে

বিইউবিটিতে আইসিপিসি এশিয়া ঢাকা আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতার মঞ্চে অতিথিরা।
ছবি: আশিকুজ্জামান

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার এশিয়া ঢাকা আঞ্চলিক পর্ব। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তনে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।

আজ শনিবার থাকবে চূড়ান্ত অনসাইট প্রতিযোগিতা, সমাপনী, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।

আয়োজকেরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের উদ্যোগে বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ কম্পিউটিং এ ইভেন্ট আয়োজন করেছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ১১৭টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭৪৫টি দলের প্রিলিমিনারি প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। অনলাইন প্রিলিমিনারি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ১০৪টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫টি দলকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশের ১০৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬৫ জন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ৪৯৫ জন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ১৬৫টি দল এই প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

প্রথম দিনে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মেজবাহউদ্দিন আহমেদ। বিইউবিটির উপাচার্য ফৈয়াজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামসুল হুদা এবং অন্যরা।

স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য পাওয়া যাবে। যদি লক্ষ্য না থাকে, থেমে থাকতে হবে।
মেজবাহউদ্দিন আহমেদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মেজবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ। স্বপ্ন ও লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। পরিশ্রমের মাধ্যমে সাফল্য পাওয়া যাবে। যদি লক্ষ্য না থাকে, থেমে থাকতে হবে।

মেজবাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, জীবন সহজ করতে হবে, সহজ করে আনন্দ উপভোগ করতে হবে। জানতে হবে কী করতে হবে। নতুন প্রজন্ম অনেক কিছু পারে, যা পুরোনোরা পারবে না।

প্রতিযোগিতা সম্পর্কে প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ও বিইউবিটির সহউপাচার্য আলী নূর বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয়বারের মতো এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে গর্বিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মেধার চর্চা ঘটবে, তরুণদের মাধ্যমে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।’

গত ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ১১৭টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৭৪৫টি দলের প্রিলিমিনারি প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়। অনলাইন প্রিলিমিনারি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ১০৪টি কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৫টি দলকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচন করা হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলী নূর বলেন, ‘অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করেছে দেশের প্রধান সারির সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তথ্য ও টেকনোলজি নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ আমাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়েছেন। তাঁদের সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’