ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পেল সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট ল্যাব

সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃতি প্রদান করেছে তাদের শিক্ষার্থীদের পরিচালিত সংগঠন সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট ল্যাবকে। সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট ল্যাব নতুন ধারণা এবং ইতিবাচকভাবে পৃথিবী গড়ে তোলার প্রত্যয়ে যুবসমাজকে উৎসাহী ও সাহায্য করে।

যুবসমাজ তাদের নতুন ধারণা সঙ্গবদ্ধ ও সম্মিলিতভাবে প্রকাশ করার সুযোগ পাবে এ কেন্দ্রে। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং সমাজকে বসবাসের জন্য আরও উপযোগী করে তুলতে কাজ করছেন এ সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনটির উদ্দেশ্য ছাত্রসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে, তাঁদের ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করা।

গত মঙ্গলবার সোশ্যাল ইম্প্যাক্ট ল্যাব (এসআইএল), স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন এবং অফিস অব স্টুডেন্ট লাইফ সম্মিলিতভাবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ২০২২ সালের মিলেনিয়াম ফেলোদের স্বাগত জানানো হয়। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘প্রশংসা ও অনুপ্রেরণার সঙ্গে উৎসাহী তরুণদের প্রভাবিত করা, যাতে তারা সমাজকে সুন্দরভাবে রূপান্তর করতে পারে’।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস এবং এসবিকে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডেভিড ডাউল্যান্ড, ডিন-স্কুল অব জেনারেল এডুকেশন এবং অধ্যাপক সামিয়া হক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সোলশেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সেবাস্টিয়ান গ্রহ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক স্টুডেন্ট লাইফ তাহসিনা রহমান, সমাজকর্মী, ট্রান্সজেন্ডার অধিকার আইনজীবী এবং সাদা কালোর প্রতিষ্ঠাতা অনন্যা বণিক সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সোনিয়া বশির কবির বাংলাদেশে উন্নয়নের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধের বক্তৃতায় বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যেই মনে করি, এসআইএল, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ল্যাবের মতো উদ্যোগ নিয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ নাগরিক সম্পৃক্ততা এবং প্রভাব প্রকল্পে এমন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে, যা বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং সেই পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য, এসআইএলের উচিত অন্য অলাভজনক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করা, অন্য স্টেকহোল্ডার এবং সমাজসেবীদের সঙ্গে মিলিত হয়ে একজোটে কাজ এগিয়ে নেওয়া উচিত, যাতে তাদের উপদেষ্টা বোর্ডের সম্প্রসারণ হবে।

সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ল্যাব সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে ডেভিড ডাউল্যান্ড বলেন, এটি সব পরিবর্তনকারীর জন্য একটি প্রতিভাসম্পন্ন প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ল্যাব তাদের সবাইকে সংযুক্ত করতে এবং দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি একটি উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে, যা বাংলাদেশের অন্যান্য ক্যাম্পাসে, এমনকি সারা বিশ্বে অনুসরণ করা যেতে পারে।

এসআইএল এবং মিলেনিয়াম সদস্যরা তাঁদের উদ্যমশীলতা ও আশাবাদী মনোভাব উদ্‌যাপন করেন ‘আমরা করব জয়’ গানের মাধ্যমে।

অনন্যা বণিক বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই, সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ল্যাব, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির এই চমৎকার উদ্যোগের জন্য।’

অনুষ্ঠানে এসআইএল পক্ষ থেকে একটি সমাপন মন্তব্য এবং প্রত্যেকের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরিতে একে অপরকে সাহায্য করার আশার মাধ্যমে সমাপ্তিরেখা টানা হয়। বিজ্ঞপ্তি