আলোহা বাংলাদেশ–এর মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিল ২৭০০ শিক্ষার্থী

আলোহা বাংলাদেশ–এর আয়োজনে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ১৬তম জাতীয় পর্যায়ের অ্যাবাকাস ও মেন্টাল অ্যারিথমেটিক প্রতিযোগিতা। সারা দেশের ৬০০টির বেশি স্কুল থেকে ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে আলোহা বাংলাদেশ।

শিশুরা কত দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সমাধানে পৌঁছাতে পারে, এই পরীক্ষার উদ্দেশ্যে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ৫ মিনিটের মধ্যে ৭০টি জটিল গাণিতিক সমাধান করতে বলা হয় এবং বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই উল্লিখিত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে গাণিতিক সমাধান করে ফেলে।

আয়োজনের প্রথম পর্ব জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার মি. লোহ মুন সাঙ। এরপর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা। মোট ৩টি ব্যাচে প্রায় ২ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।

বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোহার শিক্ষার্থীদের সরাসরি ডেমোনেস্ট্রেশনের মাধ্যমে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোহ মুন সাঙ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোহা ইন্টারন্যাশনাল পরিচালক কিরণ মাতওয়ানি এবং জি এল আর্ট, চায়নার ফাউন্ডার গোলিয়াঙ ঝু। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আলোহা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাইফুল করিম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হায়দার চৌধুরী এবং পরিচালক মো. শামসুদ্দিন টিপু।

মো. আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ‘আলোহা বাংলাদেশ ১৮ বছর ধরে মস্তিষ্কের মানোন্নয়নে কাজ করছে। আমরা লক্ষ করছি, প্রতিবছর শিক্ষার্থীরা ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য ফলাফল করছে। শুধু তাই নয়, আলোহার শিক্ষার্থীরা বড় হয়ে নানা ধরনের মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করছে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আলোহা মেন্টাল অ্যারিথমেটিকের ফাউন্ডার মি. লোহ মুন সাঙ বলেন, ‘আমরা চাই পুরো পৃথিবীতে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিমত্তার সৃষ্টিশীল বিকাশ ঘটুক। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিবছর বাংলাদেশের এত ছেলেমেয়েদের অংশগ্রহণ আমাকে বিস্মিত করে, অনুপ্রাণিত করে। আমরা চাই এ মেধাবী মুখগুলো ভবিষ্যতে দেশের উন্নতিতে অংশগ্রহণ করুক।’

শুভেচ্ছা বক্তব্যের পর অতিথিদের শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। এরপর আলোহা কোয়ালিফাইড শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। শেষে ফলাফল ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে উন্নীত শিক্ষার্থীরা এ বছরের অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। এ বছর প্রতিযোগিতাটির আন্তর্জাতিক আসর বসবে স্পেনের মাদ্রিদে।

অনুষ্ঠানের হেলথ কেয়ার পার্টনার উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল এবং ইভেন্ট অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে থাকছে হ্যাশট্যাগ কমিউনিকেশন লিমিটেড।