আইইউবিতে ফিন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
বেসরকারি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-তে ফিন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে ল্যাবের উদ্বোধন করেন।
আইইউবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইইউবির স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশন ইনশিয়েটিভসের অংশ হিসেবে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (এলবিএসএল) সঙ্গে অংশীদারত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ট্রেডিং ল্যাবটি। এলবিএসএলের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তা ও আইইউবির ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ও শেষ বর্ষের বাছাই করা শিক্ষার্থীরা তাঁদের ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্ট কোর্সের অংশ হিসেবে এই ল্যাবে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের কার্যক্রম হাতে–কলমে শিখতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে বিও হিসাব খোলা ও পরিচালনা করা, শেয়ার কেনাবেচা ও লেনদেন, বাজার বিশ্লেষণ ইত্যাদি। পাশাপাশি এলবিএসএলের ওয়েব পোর্টাল ও নিজস্ব কয়েকটি ট্রেডিং সফটওয়্যার ব্যবহারেরও সুযোগ পাবেন আইইউবির শিক্ষার্থীরা।
অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘আপনি যদি বই পড়েন, তাহলে ৫০ শতাংশ শিখবেন। যদি ল্যাবে যান, তাহলে ৭৫ শতাংশ শিখবেন। যখন শেয়ারবাজারে যাবেন, তখন ১০০ শতাংশ শিখবেন। সুতরাং বই থেকে পাওয়া জ্ঞান ও ব্যবহারিক জ্ঞানের সমন্বয় থাকতে হবে। ফিন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাবে সিমুলেশন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে থাকা পোর্টফোলিওগুলো কীভাবে পরিচালনা করবেন, তা শিখতে পারবেন এবং অর্থ উপার্জন করছেন নাকি হারাচ্ছেন, সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।’
আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়াকে মসৃণ করতে হলে অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতির সঙ্গে শেয়ারবাজারের প্রবৃদ্ধিকে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় শেয়ারবাজারের প্রবৃদ্ধি এখনো কম। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের (জনমিতিক লভ্যাংশ) সুফল ভোগ করছে। সুতরাং তরুণ প্রজন্মকে শেয়ারবাজার বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলার এটাই সঠিক সময়।
লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ফিন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাব থেকে শিক্ষার্থীরা শুধু মৌলিক বিষয়গুলো জানবেন তা–ই নয়, হাতে-কলমেও শিখবেন। তাঁরা যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবেন, তখন এটি তাঁদের সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। আইইউবি যেভাবে ফিন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাব চালু করেছে, তা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, যেকোনো দেশের জন্য শেয়ারবাজার খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেশের অর্থনীতিকে পথ দেখায় শেয়ারবাজার। সেই হিসেবে আইইউবি যে একটি ফিন্যান্সিয়াল ট্রেডিং ল্যাব চালু করেছে, এটি একটি বড় ঘটনা।
আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন ও স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের ডিন অধ্যাপক মেহেরুন আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।