অর্থসংক্রান্ত অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ে পাঠ্যক্রম তৈরি করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অর্থসংক্রান্ত অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স বিষয়ে পাঠ্যক্রম তৈরির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: বিজ্ঞপ্তি

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য অর্থসংক্রান্ত অপরাধ ও কমপ্লায়েন্স (এফসিসি) বিষয়ে একটি পাঠ্যক্রম তৈরির লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। এ কর্মসূচির মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করে অর্থসংক্রান্ত অপরাধ দমনে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত পেশাদার একটি জাতি গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার এ সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অর্গানাইজেশন অ্যান্ড পিপল ক্যাপাবিলিটি বিভাগের গ্লোবাল হেড অ্যান্ড্রু ম্যাকলিন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিটপী দাস চৌধুরী, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের হেড অব হিউম্যান রিসোর্স খায়রুন এন হক ও ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম অ্যান্ড কমপ্লায়েন্সের (সিএফসিসি) হেড অব কন্ডাক্ট ওমর এম ফারুক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ভিনসেন্ট চ্যাং, ব্র্যাক বিবিএসের ডিন স্যাং এইচ লিসহ অন্যান্য নির্বাহীও উপস্থিত ছিলেন।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের সিইও নাসের এজাজ বিজয় বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম বা ফ্রড (আর্থিক অপরাধ) মোকাবিলা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মিশন এবং চলমান কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর্থিক অপরাধ শনাক্ত, প্রতিরোধ এবং ক্রমবর্ধমান সাইবার হুমকি মোকাবিলা করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আমরা একত্রে কাজ করে থাকি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে প্রোগ্রামটি চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত, যা মানি লন্ডারিং নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং বাংলাদেশে আর্থিক অপরাধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবে। বাংলাদেশকে আর্থিক অপরাধমুক্ত জায়গা হিসেবে গড়ে তুলতে এবং আগামী প্রজন্মকে যোগ্য করতে আমরা আশাবাদী।’

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং বলেন, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির জন্য আর্থিক অপরাধ একটি উল্লেখযোগ্য চলমান চ্যালেঞ্জ। এই ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়ার অংশীদারত্ব প্রধান নিয়ন্ত্রক ও ফৌজদারি বিচার নীতির বিকল্পগুলোর পাশাপাশি প্রতারণার পরিমাণ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যয়গুলো আরও ভালোভাবে পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। সবশেষে এই উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উভয়ের সুরক্ষার জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

আর্থিক অপরাধ এবং কমপ্লায়েন্স বিষয়ে কারিকুলাম ডিজাইন ও চালু করার জন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আর্থিক অপরাধ এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত কমিউনিটির মধ্যে সতর্কতা ও সচেতনতার সংস্কৃতি তৈরি করে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও ভবিষ্যতে ইতিবাচকভাবে অবদান রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি