চুয়েটে নারীর সম–অধিকার নিয়ে আলোচনা সভা

দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। বর্তমানে প্রতিটি স্তরে নারীরা তাঁদের মেধা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। নারীর সম-অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে ‘নারীর সম-অধিকার-সমসুযোগ, এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ’ স্লোগানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) অনুষ্ঠিত হয়েছে আলোচনা সভা।
গত সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নমূলক কার্যকলাপ কঠোরভাবে দমনের লক্ষ্যে গঠিত অভিযোগ কমিটির আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভার শুরুতেই নারী দিবসের প্রেক্ষাপট একটি ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন চুয়েটের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক রোকসানা খাতুনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের (চট্টগ্রাম-৪৬) সংসদ সদস্য দিলোয়ারা ইউসুফ। গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন উপাচার্য মো. রফিকুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলোয়ারা ইউসুফ বলেন, ‘নারীরা একাত্তরে পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কালের পরিক্রমায় নারীরা এখন স্বাবলম্বী। নারীদের সম-অধিকার ও সমসুযোগ প্রদানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নারীর অগ্রগতি নিশ্চিত করতে প্রথমেই আমাদের পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশনে প্রকৌশলী হিসেবে নারীদের ভূমিকা আরও জোরালো করতে হবে। নারীর অধিকার নারীরা নিজেদের যোগ্যতাতেই অর্জন করে নিয়েছে।’

চুয়েটের উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারী অধিকার চর্চা শুরু হয়। সরকারি কাজে পিতার পাশাপাশি মায়ের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নারীরা সুযোগ পেলেই নিজেদের সক্ষমতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের জন্য কর্মক্ষেত্রে সুন্দর ও অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি নারীদেরও নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
এ ছাড়া সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-উপাচার্য জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী ও ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। সভার সঞ্চালনা করেন রসায়ন বিভাগের প্রভাষক সানজিদা মুকুট। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রী, নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।