ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে ১–৫ নভেম্বর আইটিভার্স
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে (আইআইটি) আগামীকাল বুধবার থেকে পাঁচ দিনের (১–৫ নভেম্বর) সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক একঝাঁক প্রতিযোগিতার উৎসব—আইটিভার্স–২০২৩ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
হ্যাকাথন, ডেটাথন, ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন, সফটওয়্যার প্রজেক্ট প্রদর্শনী, সাইবার সিকিউরিটি এবং কোড রিফ্যাক্টরিং—এই ছয়টি পৃথক ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ৫ নভেম্বর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে টিএসসিতে। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন এই উৎসবে।
হ্যাকাথন অংশে থাকবে তিনটি ভাগ—ব্লকচেইন, ডেভঅপস (DevOps হলো সফটওয়্যার প্রস্তুতির একটি পদ্ধতি) এবং এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস)। অনলাইনে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা ৩ নভেম্বর একটানা ২৪ ঘণ্টা ভেন্যুতে অবস্থান করে প্রদত্ত সমস্যার একটি সফটওয়্যারভিত্তিক সমাধান দেবেন। ডেটা সায়েন্স আর হ্যাকাথনের মিশ্রণে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক ডেটাথন প্রতিযোগিতায় মাসব্যাপী সময় নিয়ে প্রতিযোগীরা বাংলা বাক্যকে আন্তর্জাতিক ধ্বনি বর্ণমালায় (আইপিএ) রূপান্তর করার ডিপ-লার্নিং মডেল তৈরি করবেন।
ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন অংশে বিচার করা হবে কোনো একটি প্রেক্ষাপটে প্রতিযোগীরা কতটুকু ব্যবহারবান্ধব ওয়েব ইন্টারফেস তৈরি করতে পারেন। প্রজেক্ট প্রদর্শনী অংশে শিক্ষার্থীরা তাঁদের তৈরি উদ্ভাবনী সফটওয়্যার প্রজেক্ট তুলে ধরবেন। সাইবার সিকিউরিটি অংশ বা সিটিএফে (ক্যাপচার দ্য ফ্লাগ) প্রদত্ত একটি সাইবার সিস্টেমের সিকিউরিটি দুর্বলতা হ্যাক করবেন প্রতিযোগীরা।
অন্যদিকে কোড রিফ্যাক্টরিং হলো সঠিকভাবে কাজ করা কোড বা প্রোগ্রামকেই আবার এমনভাবে পুনর্সজ্জিত করা, যাতে করে তা সহজে অন্য প্রোগ্রামারদের কাছে বোধগম্য হয় এবং একটি বড় সফটওয়্যার সিস্টেমের কোড ব্যবস্থাপনা সহজ হয়। সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে এটি খুব পরিচিত চর্চা হলেও দেশের প্রযুক্তি প্রতিযোগিতার অঙ্গনে এই অংশটি নতুন এক সংযোজন।
আইটিভার্স সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, ‘আমরা এই ধরনের আয়োজনকে কখনোই শুধু প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখি না। এর মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ পান, ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি কোন দিকে যাচ্ছে, সেটি অনুধাবনের সুযোগ পান, ইন্ডাস্ট্রির সেরা মানুষগুলোর কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পান।’
আইটিভার্সের মূল স্পনসর সেফালো বাংলাদেশ লিমিটেড। সিলভার স্পনসর দোহাটেক নিউ মিডিয়া, স্ট্রিমসটেক লিমিটেড এবং ব্রেইন স্টেশন ২৩। ব্রোঞ্জ স্পনসর সেবপো। টিকিট ও যোগাযোগ পার্টনার ইভেন্টস্পার্ক। ডেটাথন অংশে পার্টনার হিসেবে আছে বেঙ্গলি এআই এবং সাইবার সিকিউরিটি অংশে পার্টনার নাইট স্কোয়াড। উৎসবটির অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো।