তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তিকে উৎসাহিত করতে অনুষ্ঠিত হলো এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ

এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ রাজধানীর ধানমন্ডিতে ড্যাফোডিল প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছেছবি: সংগৃহীত

এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ রাজধানীর ধানমন্ডিতে গত শনিবার ড্যাফোডিল প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ আয়োজনে সারা দেশের ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক ও প্রযুক্তিপ্রেমীর অংশগ্রহণে দিনটি পরিণত হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক (এআই) এক অনন্য জাতীয় উদ্ভাবনী উৎসবে।

দিনব্যাপী আয়োজনে তিনটি কর্মশালায় আলোচনা হয় এআইয়ের বাস্তব জীবনে প্রয়োগ, নৈতিকতা ও উদ্ভাবনের সম্ভাবনা নিয়ে। অংশগ্রহণকারীরা প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক—এই তিন স্তরে প্রজেক্ট জমা দেন। বিচারকার্যে অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিএসই, সিআইএস ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩৬ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক। জয়ীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প নির্বাচন করে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানারআপ ও দ্বিতীয় রানারআপ ট্রফি এবং সর্বোচ্চ স্কোরারকে প্রদান করা হয় একটি ল্যাপটপ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান, প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ইয়ুথ প্রোগ্রাম, ইভেন্টস অ্যান্ড অ্যাকটিভেশনের চিফ কো-অর্ডিনেটর মো. মুনির হাসান, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং ডিআইইউয়ের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (এফএসআইটি) ডিন অধ্যাপক সৈয়দ আখতার হোসেন।

অনুষ্ঠানে অলিম্পিয়াডের সার্বিক কার্যক্রম ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫-এর কনভেনর ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রথীন্দ্র নাথ দাস। তিনি বলেন, ‘এই অলিম্পিয়াড কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়; বরং একটি জাতীয় প্ল্যাটফর্ম, যেখানে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছে।’

অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেবল একটি প্রযুক্তি নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব, সমস্যা সমাধান ও মানবিক উন্নয়নের এক কার্যকর হাতিয়ার। এআই অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ২০২৫ সেই বাস্তবতা তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সফল হয়েছে। এই আয়োজন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের তরুণেরা এখন শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নন, বরং তাঁরা উদ্ভাবনের শক্তি নিয়েই ভবিষ্যতের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।

এ আয়োজনের অ্যাসোসিয়েট পার্টনার হিসেবে ছিল প্রথম আলো।

‘দূর পরবাস’-এ জীবনের গল্প, নানা আয়োজনের খবর, ভিডিও, ছবি ও লেখা পাঠাতে পারবেন পাঠকেরা। ই-মেইল: dp@prothomalo.com