রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসা সম্পর্কে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি

প্রতীকী ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এক উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি হিসেবে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও হুমায়ুন কবীর, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান ও বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক কাজী রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ‘এসএমই’ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মাসুদুর রহমান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় এসএমইয়ের মহাব্যবস্থাপক নাজিম হাসান সাত্তার স্বাগত বক্তব্য দেন। এ ছাড়া রাবি ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহকারী পরিচালক মো. ইমরান হোসেন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ‘কীভাবে উদ্যোক্তা হব’ এক প্ল্যানারি সেশনে আলোচনা করেন ‘চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব’–এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুনির হাসান, ‘এফএম প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী তৌহিদুর রহমান, ‘উই ট্রাস্ট’–এর সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা এবং ‘ঐক্য ফাউন্ডেশন’–এর এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দেওয়ান মাহফুজুল হক।

বক্তারা বলেন, নিজের আগ্রহের জায়গা থেকে উদ্যোক্তা হতে হবে। অন্যকে দেখে কিছু শুরু করা যাবে না। উদ্যোক্তা হওয়ার শর্টকাট কোনো পদ্ধতি নেই। আমাদের আগে সমস্যা খুঁজে বের করতে হবে। তাহলেই নতুন নতুন আইডিয়া বের হবে। কাজের শুরুতে বাধা আসবে, কিন্তু তাতে হতাশ হওয়া যাবে না। তা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ধাপ অবলম্বন করতে হবে। শুধু লেগে থাকলে হবে না, কখন থামতে হয়, সেটিও জানতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে রাজশাহী অত্যন্ত সম্ভাবনাময় স্থান। বিশ্বায়নের এ যুগে জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা ভৌত পুঁজির স্থান দখল করেছে। ফলে আজ তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্রমেই প্রসার ঘটছে। আজ শ্রমভিত্তিক অর্থনীতি থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক অর্থনীতির দিকে বিশ্ব ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে এখন চলছে গবেষণা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর উদ্ভাবনের সুযোগ। এমনই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের তরুণ সমাজও উদ্যোক্তা হতে এবং তাদের উদ্ভাবনী জ্ঞান ও দক্ষতাকে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগাতে এগিয়ে আসছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাবাদের বিষয়।

অনুষ্ঠানে ‘ব্যবসা করার জন্য মূলধনের ব্যবস্থা’ শীর্ষক আরেকটি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া উদ্যোক্তা উন্নয়নে ‘এটুআই’–এর গৃহীত পদক্ষেপ ও ‘সফল উদ্যোক্তা (কেইস স্টাডি)’ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মকর্তা ও উদ্যোক্তারা আলোচনা করেন। দিনব্যাপী এ কর্মসূচিতে রাবি, রুয়েট ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন ও অংশগ্রহণ করেন।