‘সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ’ নিশ্চিত করতে ইউএপি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পেইন
বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ইনজিনিয়াস মার্কেটিং ক্লাব ‘সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধের নাগরিক অধিকার’ নিশ্চিতের দাবিতে সচেতনতামূলক প্রচার চালু করেছে। বাংলাদেশে ওষুধের ক্রমবর্ধমান দাম এবং স্বাস্থ্যসেবা নাগালের বাইরে চলে যাওয়ার শঙ্কা তুলে ধরাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।
গত রোববার (২৪ আগষ্ট ২০২৫) রাজধানীর ইউএপি প্লাজায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন ইউএপির উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্যের উপদেষ্টা অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্কুল অব বিজনেসের ডিন অধ্যাপক এম এ বাকী খলিলী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধের অ্যাক্সেস কেবল অর্থনৈতিক বিষয় নয়; এটি একটি মৌলিক অধিকার। আমি গর্বিত যে আমাদের শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে বিপণনের দক্ষতা কাজে লাগাচ্ছে।’
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্রচারণায় ৬০টিরও বেশি দল নিবন্ধন করে এবং ৪০টির বেশি দল সৃজনশীল প্রস্তাব জমা দেয়। সেখান থেকে বাছাই করা আটটি দল চূড়ান্ত পর্বে প্রতিযোগিতা করে এবং ইন্টারেক্টিভ স্টল, উপস্থাপনা ও লাইভ প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের ধারণা তুলে ধরে।
অধ্যাপক এম এ বাকী খলিলী উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘এ প্রচারণা শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য—সমাজের সেবা প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে যে বিপণন শুধু মুনাফার জন্য নয়, সামাজিক দায়িত্ব পালনের জন্যও।’
বেলা তিনটায় অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএপি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপারসন স্থপতি মাহবুবা হক। তিনি বলেন, ‘ওষুধের ক্রয়ক্ষমতা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা প্রতিটি পরিবারের জীবনের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে শিক্ষার্থীদের অবদান প্রশংসনীয়। সমাজের কল্যাণে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে আমি সবাইকে উৎসাহিত করছি।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগের প্রধান সারওয়ার রাজ্জাক চৌধুরী, অধ্যাপক শামসাদ আহমেদসহ অনুষদের শিক্ষকেরা। দিনের শেষ পর্যায়ে শীর্ষ তিনটি দলকে তাদের সৃজনশীলতা ও প্রভাবের জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
ইনজিনিয়াস মার্কেটিং ক্লাব আগেও মাদকবিরোধী সচেতনতা ও হয়রানিবিরোধী প্রচারণার মতো সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রশংসা অর্জন করেছে। এবার ‘সাশ্রয়ী মূল্যের ওষুধ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তারা আবারও প্রমাণ করল, বিপণনের শক্তি সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে ব্যবহার করা সম্ভব। বিজ্ঞপ্তি