সহকারী শিক্ষকের বেতন কম্পিউটার অপারেটরের সমান, কলেজ অধ্যাপকের যুগ্ম সচিবেরও নিচে

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেনছবি: প্রথম আলো

শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলের সমান। আর সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে। এটি  মনে রাখতে হবে।

বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এসব কথা বলেন।

আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই অনুষ্ঠান। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের সম্মান জানাতে আজ সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে দিবসটি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে। অবশ্য বাংলাদেশে এমন সময়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে, যখন বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকেরা আর্থিক ও মর্যাদার দাবিতে নানা রকমের আন্দোলন করছেন।

আরও পড়ুন
বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল কত, চার (চতুর্থ গ্রেড)। অর্থাৎ একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে অবস্থান করেন। আমরা এই মর্যাদা দিচ্ছি শিক্ষকদের।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি শিক্ষকদের মধ্যে আমরা দেখব, সবচেয়ে নিচে রয়েছেন আমাদের প্রাথমিক স্কুলের সহকারী শিক্ষকেরা। তাঁরা কত গ্রেডে বেতন পান? ১৩ (জাতীয় বেতনস্কেলের ১৩তম গ্রেড)। অর্থাৎ একজন কম্পিউটার অপারেটরের স্কেলে...। এই হচ্ছে তাঁর সম্মান। উপজেলা হেড কোয়ার্টারে যেখানে তিনি বেতন পান, সেই হিসাবরক্ষক, তাঁর স্কেল হচ্ছে ১২তম। তাঁকে স্যার ডাকার মতো অবস্থা।’

অন্যান্য স্তরের শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘সরকারি কলেজের অধ্যাপকের স্কেল কত, চার (চতুর্থ গ্রেড)। অর্থাৎ একজন যুগ্ম সচিবেরও নিচে অবস্থান করেন। আমরা এই মর্যাদা দিচ্ছি শিক্ষকদের। সুতরাং শিক্ষকদের যদি সত্যি মর্যাদা দিতে হয়, তাহলে শুধু মুখের কথায় চিড়া ভিজবে না। এই কথাটা আমাদের মনে রাখতে হবে।’

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ১২ গুণী শিক্ষককে সম্মাননা দেওয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সিআর আবরার)। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ, ইসলামিক ওয়ার্ল্ড এডুকেশনাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশনের মহাসচিব সালিম এম. আল মালিক, ইউনেসকোর ঢাকা অফিসের প্রধান সুসান ভাইজ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা।