কাগজের সংকট হলে পাঠ্যবই ছাপায় মানে ‘সামান্য হেরফের’ গ্রহণ হতে পারে
সরকার বছরের শুরুতেই বিনা মূল্যের পাঠ্যবই দিতে চায়। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিকের বই ছাপায় যদি কাগজ তৈরির মণ্ড (পাল্প) নিয়ে বড় সংকট দেখা দেয়, তা হলে অন্যান্য মানদণ্ড ঠিক রেখে শুধু কাগজের মানে ‘সামান্য হেরফের’ গ্রহণ করা হতে পারে। অর্থাৎ দরপত্রে যে মান নির্ধারণ করা আছে, তাতে কিছুটা ছাড় দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া জটিলতা কাটিয়ে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই খুব শিগগির ছাপা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার সংকট মোকাবিলায় বুধবার শিক্ষা ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে যৌথ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। এনসিটিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মুদ্রণকারীদের বিল পরিশোধসহ অন্যান্য জটিলতাগুলোও নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলো সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র দুই মাস বাকি। কিন্তু নানা জটিলতায় গত মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরুই করা যায়নি। কাগজ ও ছাড়পত্রসংক্রান্ত জটিলতায় বই ছাপা শুরু করা যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্যবার এই সময়ে বিপুল পরিমাণ বই ছাপা হয়ে যায়। প্রাথমিকে মোট পাঠ্যবই ১০ কোটির মতো। মাধ্যমিক স্তরে বই ছাপার কাজ শুরু হলেও এখন কাগজ নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন অনলাইনে সভায় যোগ দেন। এ ছাড়া এনসিটিবির কর্মকর্তারাও সভায় যোগ দেন।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, তাঁরা আশা করছেন, ১ জানুয়ারিই বই দিতে পারবেন।