বিশেষজ্ঞ কমিটির নেতৃত্বে অধ্যাপক হালিম, আরেকটিতে খালেদা আক্তার

ছবি: সংগৃহীত

বিতর্কের মুখে পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি চিহ্নিত করে সংশোধন এবং এতে কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না, খতিয়ে দেখতে দুটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আবদুল হালিমকে। আর প্রশাসনিক কমিটির প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খালেদা আক্তারকে।

আরও পড়ুন

বিশেষজ্ঞ কমিটিতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. অহিদুজ্জামানকে প্রধান করার সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। এখন তিনি কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন।
এ বিষয়ে পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাত সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছে এক মাস। এ সময়ের মধ্যে তারা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ভুল ও অসংগতি চিহ্নিত করে সুপারিশ করবে। প্রশাসনিক কমিটিও সাত সদস্যের। তাদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। তারা এই দুই ক্লাসে বই নিয়ে গাফিলতি বা ইচ্ছাকৃত ভুল ছিল কি না তা দেখবে। এর আগে ২৪ জানুয়ারি রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি দুটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন

সেদিন শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে নানা আলোচনা দেখা যাচ্ছে। সেখানে ধর্মীয় বিষয় নিয়েও বেশ কিছু আলোচনা আছে। এ জন্য দুটি কমিটি করা হচ্ছে। রোববারের (গত) মধ্যে বিস্তারিত জানানো হবে। একটি কমিটি হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ধর্মীয় বিষয়ের বিশেষজ্ঞরাও কমিটিতে থাকবেন। এ বিষয়ে একটি লিংক দেওয়া হবে, যেখানে দেশ-বিদেশ থেকে যেকোনো বই নিয়ে মত, আপত্তি বা পরামর্শ দেওয়া যাবে। ভুল থাকলে অবশ্যই সংশোধন করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

আরও পড়ুন

অপর কমিটির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, আলোচনাও হচ্ছে, হয়তো শর্ষের মধ্যে কোথাও ভূত আছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কেউ যদি ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল করে থাকে...। কমিটি পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে। গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা দুজন মিলে যেসব ছবি বাদ দিয়েছিলাম, সেই ছবিও কোথাও কোথাও থেকে গেছে। এটি গাফিলতি, নাকি ইচ্ছাকৃত, সেগুলোও বের করা দরকার।’

আরও পড়ুন