জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে ভাইভা অনলাইনে, পদ্ধতি প্রকাশ

২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা (বিএ, বিএসএস ও বিবিএ) পদ্ধতি কেমন হবে, তা জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আজ রোববার (৯ মে) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সেই পদ্ধতির কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা (বিএ, বিএসএস ও বিবিএ) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে (জুম অ্যাপ) অনুষ্ঠিত হবে। মৌখিক পরীক্ষা হবে ২৪ মে থেকে ২৪ জুনের মধ্যে। বিএসসি কোর্সের ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

কীভাবে হবে পরীক্ষা

সংশ্লিষ্ট কলেজ কেন্দ্রগুলোকে বিষয়ওয়ারি পরীক্ষার্থীর তথ্যাবলি/বিবরণী অনলাইনে পাঠানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দুইজন বহিঃপরীক্ষক নির্ধারণ করে কেন্দ্রের অধ্যক্ষ/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হবে। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়ওয়ারি দুজন অন্তঃপরীক্ষক নির্বাচন করবেন। তাঁরা জুন অ্যাপের মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ এবং পরীক্ষার্থীর হাজিরা গ্রহণ (স্ক্রিনশট) করবেন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিঃপরীক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়ওয়ারি পরীক্ষার তারিখ ও সময় নির্ধারণপূর্বক পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করবেন। পরীক্ষার তারিখ ও সময় পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডসহ) নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত (জুম অ্যাপ লিংকে) থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মহোদয়/ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবহিত করার ব্যবস্থা নেবেন।

অনলাইনে প্রেরিত পরীক্ষার্থীদের বিবরণী ডাউনলোড করে প্রিন্ট কপি দায়িত্বপ্রাপ্ত বহিঃপরীক্ষকদের পরীক্ষা শুরুর আগে প্রেরণের ব্যবস্থা নেবেন। পরীক্ষা গ্রহণের জন্য জুম অ্যাপের লিংক বহিঃপরীক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রেরণ করতে হবে।
পূর্বনির্ধারিত তারিখ ও সময়ে অন্তঃপরীক্ষক ও বহিঃপরীক্ষকেরা জুমে সংযুক্ত হবেন। প্রেরিত ডেটার ক্রমানুসারে একজন পরীক্ষার্থীকে সংযুক্ত করে পরীক্ষা শুরু করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণকালে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ভিডিও খোলা থাকতে হবে। বাকি পরীক্ষার্থীরা ওয়েটিং রুমে থাকবেন। একজন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শেষে অন্তঃপরীক্ষক ও বহিঃপরীক্ষকেরা আলোচনাক্রমে প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করবেন। এ সময় পরীক্ষার্থীকে অনলাইনে রাখা যাবে না।

নির্ধারিত নম্বর অন্তঃপরীক্ষক ও বহিঃপরীক্ষকেরা নিজ নিজ বিবরণীতে লিখবেন। এরপর পরবর্তী পরীক্ষার্থীকে ওয়েটিং রুম থেকে অনলাইনে এনে তার পরীক্ষা শুরু করতে হবে। এভাবে ক্রমানুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য, পরীক্ষার্থী অনলাইনে যুক্ত হওয়ার পর তাঁর নাম, রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও শিক্ষাবর্ষ প্রেরিত ডেটার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে পরীক্ষা শুরু করতে হবে।

পরীক্ষা গ্রহণ শেষে আগের নিয়মে কলেজ কেন্দ্র অনলাইনে প্রাপ্ত নম্বর এন্ট্রিপূর্বক প্রেরণ করবে। উল্লেখ্য, বহিঃপরীক্ষক ও অন্তঃপরীক্ষক নম্বর ফর্দে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করে ১ কপি নিজে সংরক্ষণ করবেন ও ১ কপি সংশ্লিষ্ট কলেজ/কেন্দ্রে এবং ১ কপি মো. কুদরত আলী, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অনার্স চতুর্থ বর্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৪–এ ঠিকানায় (খামের ওপর অনার্স চতুর্থ বর্ষ মৌখিক পরীক্ষা-২০১৯ লিখে) প্রেরণ করবেন।

বহিঃপরীক্ষক ও অন্তঃপরীক্ষক এবং অধ্যক্ষ মহোদয়ের প্রতিস্বাক্ষরে হাজিরা এবং নম্বর এন্ট্রির প্রিন্ট কপি কলেজ কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে ম্যানুয়াল ১ কপি মো. কুদরত আলী, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অনার্স চতুর্থ বর্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর-১৭০৪–এ ঠিকানায় (খামের ওপর অনার্স চতুর্থ বর্ষ মৌখিক পরীক্ষা-২০১৯ লিখে) প্রেরণ করবেন।
মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ ও সময়সূচি জুম আইডি, লিংকসহ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর ই-মেইল [email protected] ঠিকানায় পাঠাতে হবে। প্রয়োজনে মনিটরিংয়ের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের জুম অ্যাকসেস দিতে হবে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে গণ্য হবে। এ সিদ্ধান্ত শুধু মহামারি কোভিড-১৯ বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হবে। এটি ভবিষ্যতে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল (শনিবার) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে কলেজ অধ্যক্ষদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাগবে ২০১৯ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের মৌখিক পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।